ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

রগ কেটে যুবলীগ নেতাকে হত্যা: আটক ৩

গাইবান্ধা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২০, ১৩ নভেম্বর ২০২৩  
রগ কেটে যুবলীগ নেতাকে হত্যা: আটক ৩

জাহিদুল ইসলাম (ফাইল ফটো)

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগ নেতাকে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। 

রোববার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বামনডাঙ্গা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের শাখামারা ব্রিজ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এক সঙ্গীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। ১২ নভেম্বর রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বামনডাঙ্গা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের শাখামারা ব্রিজ এলাকায় তারা হামলার শিকার হন। প্রথম ৭-৮ জন হঠাৎ রশি টেনে মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। এর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দেয় এবং মাথাসহ শরীরের একাধিক স্থানে কোপ দেয়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এর পর জাহিদুলকে দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত পৌনে ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘ঘটনাটি পরিকল্পিত। হামলার সময় জাহিদুল কয়েকজনকে চিনতে পেরেছিলেন। এদের মধ্যে মুছা, সামু, ইমতিয়াজ ও খাদেমুল জামায়াত, শিবির ও বিএনপি কর্মী। অন্যরাও জামায়াত-শিবিরের কর্মী।’
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন চ্যাটার্জি রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তিনি হামলাকারী কয়েকজনের নাম বলেছেন। এর মধ্যে মুছা, সামু, ইমতিয়াজ ও খাদেমুল জামায়াত-শিবিরের কর্মী। তাদের ধরা গেলে অন্য হামলাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। এ পর্যন্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর সুন্দরগঞ্জে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা তাণ্ডব চালায়। দফায় দফায় হামলা, অগ্নিকাণ্ড আর লুটপাট চালানো হয় বামডাঙ্গা রেল স্টেশন, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে। কুপিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশ সদস্য তোজাম্মেল হক, নজিম উদ্দিন, বাবলু মিয়া ও হযরত আলীকে।

মাসুম/রফিক 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়