ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৩  
মুন্সীগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ময়না (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চসার ইউনিয়নের আদারিয়াতলা এলাকায় বসতঘর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে তার বাবার বাড়ির স্বজনরা। নিহত ময়না স্থানীয় মো. জাকিরের স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী। স্বজনদের দাবি, গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও পরিকল্পিতভাবে ময়নাকে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে স্বামী জাকিরকে।

পুলিশ ও স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার চরমিরেশ্বর এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে ময়নার সাথে ১১ বছর আগে জাকিরের বিয়ে হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলো তাকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশিদের মাধ্যমে মৃত্যুর খবর পায় বাবার বাড়ির স্বজনরা। পরে শশুর বাড়ির বসতঘর থেকে ময়নার নিথর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা।

পরিবারের অভিযোগ, মরদেহ উদ্ধার করতে গেলে ময়না গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে প্রতিবেশিরা জানায় আজ দুপুরে ময়নাকে বাড়ির লোকজন মারধর করেছে। মূলত নির্যাতন করেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

ময়নার বাবা আবুল হোসেন জানান, আমার ২ মেয়ে ও এক ছেলে আছে ছোট ছোট। ওকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো। আজকে পরিকল্পিতভাবে শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদ মিলে হত্যা করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। 

নিহতের স্বামী জাকির জানান, দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। বাবা-মা ময়নাকে মারধর করেছে বলে সে জেনেছে। 

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এসএম ফেরদৌস জানান, মৃত অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় ওই গৃহবধুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। 

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে তার স্বজনরা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসা ও তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রতন/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়