ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে বিস্তীর্ণ জমিতে আলুর বীজ রোপণ শুরু

শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১৭ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৭:৪০, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
মুন্সীগঞ্জে বিস্তীর্ণ জমিতে আলুর বীজ রোপণ শুরু

বিস্তীর্ণ জমিতে আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন মুন্সীগঞ্জে কৃষকরা। বর্ষার পানি নেমে যাওযার পর জমি পরিস্কারের কাজ শেষে আলু আবাদে নেমেছেন তারা। এদিকে, শ্রমিক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুরুষ-নারীরা। তারা চুক্তি হিসেবে জমিতে আলুর বীজ রোপণে কাজ করছেন। নভেম্বরে শুরু হওয়া আলু রোপণের কাজ চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

মুন্সীগঞ্জ জেলার ৭৫ থেকে ৮০ হাজার কৃষক পরিবার আলু আবাদের সঙ্গে জড়িত। পরিবারগুলো এখন আলু রোপণ করে লাভের আশায় স্বপ্ন বুনছে। আলুর বাম্পার ফলন হলেই আগামীতে তাদের অর্থনৈতিক ভীত শক্ত হবে এমন স্বপ্নই দেখছেন চাষিরা। 

সরেজমিনে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার, বাংলাবাজার, মোল্লাকান্দি, শিলই, আধারা, মহাকালী, বজ্রযোগিনী, রামপাল ইউনিয়ন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আলদী, ধামারণ, কাঠাদিয়া, শিমুলিয়া, যশলং, ধীপু এবং সিরাজদিখান, লৌহজং, গজারিয়া ও শ্রীনগর উপজেলার গ্রামগুলোতে জমি প্রস্তুত শেষে আলু রোপণ করতে দেখা গেছে কৃষকরা। তাদের সঙ্গে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক হিসেবে আসা নারী-পুরুষদের।

টঙ্গিবাড়ীর ধামারন গ্রামের কৃষক বাবুল মিয়ার স্ত্রী গৃহবধু জুলেখা বেগম জানান, এবার তারা ৬০ শতাংশ জমিতে আলু রোপণ করছেন। এ জন্য স্বামীকে সাহায্য করতে বাড়ির উঠানে বসেই আলু বীজ কেটে দিচ্ছেন। প্রতিবেশী গৃহবধূরাও মজুরি পাওয়ায় আশায় এ কাজে যুক্ত হয়েছেন।

রংপুর জেলা থেকে আসা শ্রমিক আব্বাস মিয়া জানান, কোথাও চুক্তি অনুযায়ী আবার কোথাও দিনব্যাপী মজুরি নিয়ে তারা কৃষকের জমিতে আলু রোপণ কাজ করছেন। রোপণ কাজ শেষে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন। আলু উত্তোলনের সময় তারা আবারও আসবেন মুন্সীগঞ্জ জেলায়। কৃষকরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়ায় তারা খুশি। 

জেলার সিরাজদীখান উপজেলার বালুরচর গ্রামের কৃষক আলী মিয়া বলেন, জমি উচু থাকায় আমরা আগাম আলু আবাদ করি। এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করছি।

একই গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, আলু আবাদের মৌসুম এলেই রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নিলফামারী, ময়মনসিংহ ও কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা আসেন। তারা প্রতিদিন সকালে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে জড়ো হন। কৃষকের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর তারা আলু রোপণে জমিতে কাজ শুরু করেন। 

মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ জানান, এ মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখিত জমিতে আলু রোপণ হলে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭  মেট্রিক টন আলু উৎপান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নভেম্বরের শুরুতেই সদর, সিরাজদীখান, লৌহজং, টঙ্গিবাড়ী, গজারিয়া ও শ্রীনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আলু আবাদের উৎসব শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলু আবাদ হচ্ছে জেলা সদরেই।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ