নাটোরে এবার মাদ্রাসাশিক্ষককে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করল মুখোশধারীরা
নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নাটোরে এবার এক মাদ্রাসার শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে হাত ভেঙে তিন কিলোমিটার দূরে সড়কের পাশে ফেলে গেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মাদ্রাসাশিক্ষকের নাম হাফেজ সাইদুল ইসলাম (৩৮)। তিনি নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা পূর্ব পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে ও মাঝদিঘা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।
এ নিয়ে গত এক মাসে নাটোরের চার উপজেলায় ১০ জনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে, গুলি করে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
আগের নয় জনের মধ্যে একজন বিএনপি ও দুজন যুবদলের নেতা। বাকি ৬ জন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। ওই নয়টি হামলার ঘটনার ছয়টি ঘটেছে নলডাঙ্গা উপজেলায়। বাকি তিনটি নাটোর সদর, সিংড়া ও লালপুর উপজেলায়।
পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সাইদুল মাঝদিঘা মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুখোশধারী ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনসহ তার সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং থানায় খবর দেন। রাত ৮টার দিকে তারা খবর পান, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে নাটোর-নলডাঙ্গা সড়কের চিকুর মোড়ে ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহতাবস্থায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে মাইক্রোবাসে তুলে হাত-পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
আরিফুল/কেআই