ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

নাটোরে এবার মাদ্রাসাশিক্ষককে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করল মুখোশধারীরা

নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০২, ১৮ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১০:০৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
নাটোরে এবার মাদ্রাসাশিক্ষককে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করল মুখোশধারীরা

নাটোরে এবার এক মাদ্রাসার শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে হাত ভেঙে তিন কিলোমিটার দূরে সড়কের পাশে ফেলে গেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মাদ্রাসাশিক্ষকের নাম হাফেজ সাইদুল ইসলাম (৩৮)। তিনি নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা পূর্ব পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে ও মাঝদিঘা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।

এ নিয়ে গত এক মাসে নাটোরের চার উপজেলায় ১০ জনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে, গুলি করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। 
আগের নয় জনের মধ্যে একজন বিএনপি ও দুজন যুবদলের নেতা। বাকি ৬ জন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। ওই নয়টি হামলার ঘটনার ছয়টি ঘটেছে নলডাঙ্গা উপজেলায়। বাকি তিনটি নাটোর সদর, সিংড়া ও লালপুর উপজেলায়।

পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সাইদুল মাঝদিঘা মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুখোশধারী ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনসহ তার সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং থানায় খবর দেন। রাত ৮টার দিকে তারা খবর পান, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে নাটোর-নলডাঙ্গা সড়কের চিকুর মোড়ে ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহতাবস্থায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে মাইক্রোবাসে তুলে হাত-পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

আরিফুল/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়