ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতার নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ২১ নভেম্বর ২০২৩  
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতার নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার অভিযোগ

কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকটি দোকানঘর উন্মুক্ত করতেই জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে থাকা ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, জেলা পরিষদের চেয়ানম্যানের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০২০ সালে সারাদেশের জেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণ করা হয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। তারই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণেও স্থাপন করা হয় জাতির জনকের ম্যুরাল। গত দুইদিন ধরে তাবু দিয়ে ঢেঁকে গোপনে ভেঙে ফেলা শুরু হয় ম্যুরালটি।

ম্যুরাল ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা পরিষদ ভবন প্রাঙ্গণে নকশা বহির্ভূত কয়েকটি দোকানঘর উন্মুক্ত করতেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। এর বাইরে কোনো কথায় বলতে রাজি হননি তারা।

কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙার খবর শুনেই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। যারাই এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি তার।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল রানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আমাদের দেশ স্বাধীন করেছেন। তার ম্যুরাল ভাঙার ঘটনাটি বড় অন্যায় ও খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন জানান এ বিষয়ে বলেন, আমি সম্পূর্ণ অবগত নই। তবে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ভাঙা হয়েছে। 

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণ কিংবা স্থাপনের ক্ষেত্রে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়