প্রসূতির মৃত্যু: সেই সেন্ট্রাল হাসপাতাল সিলগালা
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![প্রসূতির মৃত্যু: সেই সেন্ট্রাল হাসপাতাল সিলগালা প্রসূতির মৃত্যু: সেই সেন্ট্রাল হাসপাতাল সিলগালা](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023November/Gazipur-2311231113.jpg)
গাজীপুরের কালীগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি প্রভাষকের মৃত্যুর ঘটনায় সেন্ট্রাল হাসপাতালকে সাময়িকভাবে সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হাসপাতালটি সিলগালা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উম্মে হাফছা নাদিয়া বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসককের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ
তিনি আরো বলেন, হালনাগাদ কাগজপত্র না থাকার কারণে আমরা আপাতত হাসপাতালটিকে সাময়িকভাবে সিলগালা করে দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম মনজুর-এ-এলাহী জানান, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সানজিদা পারভিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকিরা হলেন- ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দ মো. শহিদুল ইসলাম (সদস্য সচিব) ও এনেসথিসিয়া বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. ইমরান খান (সদস্য)। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে অন্যদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দ মো. শহিদুল ইসলাম, কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন, বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুল ইসলাম পুলিশ ও আনসার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের বাসিন্দা ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মুক্তা দে (৩২) প্রসব বেদনা নিয়ে কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ডাক্তার মো. মাইনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তার অস্ত্রপাচার হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় মুক্তাকে। ঢাকায় নেওয়ার পথে মুক্তার মৃত্যু হয়।
রফিক/মাসুদ
আরো পড়ুন