ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

সিলেটে স্ত্রী ও দুই সন্তান কুপিয়ে হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ২৩ নভেম্বর ২০২৩  
সিলেটে স্ত্রী ও দুই সন্তান কুপিয়ে হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে এক সঙ্গে কুপিয়ে হত্যার দায়ে হিফজুর রহমান (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিফজুর রহমান সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিন্নাকান্দি গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, দুই শিশুকে হত্যার দায়ে আদালত আরও ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ জুন স্ত্রী আলেমা বেগম ও দুই সন্তান মিজান ও আনিছা বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন হিফজুর রহমান।

হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আইয়ুব আলী। পরে পুলিশ হিফজুর রহমানকে সন্দেহমূলক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হিফজুর নিজেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। পরে পুলিশ তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

পরে গোয়াইনঘাট থানার ওসি ওমর ফারুক হিফজুর রহমানকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে (৪৮ নম্বর) অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৭ জুলাই সিলেট দায়রা জজ আদালতের বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হিফজুর বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে একইসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ি। পরে আমি স্বপ্নে দেখি আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে বড় বড় রুই মাছ ও সাপ এসে খেয়ে ফেলছে। বসতঘর থেকে দা-বটি নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে তাদেরকে বাঁচানোর জন্য এলোপাতাড়ি কুপিয়েছি। পরে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখি আমি আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলেছি।

সিলেট জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) নিজাম উদ্দিন বলেন, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আদালত হিফজুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়েছেন। ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

নূর/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়