যারা অফিসের তালা খোলার মানুষ পায় না, তারা কী আন্দোলন করবে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি বলেছিল, জোটের সঙ্গীদের নিয়ে তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাদের সঙ্গীরাই তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গতকাল জেনারেল ইব্রাহীমের নেতৃত্বে কয়েকটা দল তাদের জোট থেকে বের হয়ে গেছে। নয়াপল্টনের অফিসে তালা সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাগায়নি। নিজেদের লাগানো তালা নিজেরাই খোলার জন্য একজন মানুষও খুঁজে পাচ্ছে না। যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার জন্য মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তারা আবার কী আন্দোলন করবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক এম. ইসকান্দর মিয়া তালুকদার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে সেটি অভাবনীয়। বিএনপি এখন ইঁদুরের ন্যায় গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে ওপরের দিকে উঁকি দিয়ে কয়দিন পরপর কর্মসূচি দেয়। তাদের কর্মসূচি কী? গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো এবং স্কুলের মধ্যে আগুন দেওয়া। তাই তাদের সঙ্গে এখন আর মানুষ নেই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও পানির নিচ দিয়ে টানেল নেই, কক্সবাজারেও ট্রেন গেছে। আজ থেকে ১৩৩ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন নেওয়ার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব এস. এম. আবুল ফজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার রশীদ আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম হারুণ উর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আালী শাহ, ইদ্রিস আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান ও ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ।
রেজাউল/মাসুদ