ঢাকা     শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ২ ১৪৩১

সুন্দরবনে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব শুরু

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৬, ২৫ নভেম্বর ২০২৩  
সুন্দরবনে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব শুরু

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব। ঐহিত্যবাহী এই উৎসবে যোগ দিতে ইতোমধ্যে দুবলার চরের আলোর কোলে সমাবেত হয়েছেন হাজারো পুণ্যার্থী। পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের। আগামী সোমবার সকালে পূর্ণ স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উৎসব।  

রাস উৎসব ও পূণ্যস্নান উপলক্ষে বন বিভাগের বিশেষ কয়েকটি টিম সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল শুরু করেছে। শনিবার থেকে সোমবার তিন দিন সুন্দরবনে পুণ্যার্থী ছাড়া সব ধরনের প্রবেশে পাস-পারমিট বন্ধ করেছে বন বিভাগ। পুণ্যার্থীরা নির্ধারিত পাঁচটি রুট দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে আবার একই রুট দিয়ে ফিরে আসবেন। পুণ্যার্থীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগেরহাট জেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাধীন দুবলার চরে প্রায় ২৩০ বছর ধরে শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব পালন করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, রাস উৎসবে রাতভর শ্রী কৃষ্ণের পূজা-অর্চনা শেষে পরের দিন ভোরে সূর্য উদয়ের পূর্ব মুহূর্তে সাগরের জলে পুণ্যস্নান করলে সব ধরনের পাপমোচন এবং মনোবাসনা পূর্ণ হবে।

আরো পড়ুন:

রাস উৎসব আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু সন্তু বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে রাসপূজা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই মধ্যে রাস পূজায় বিভিন্ন স্থান থেকে পুন্যার্থীরা অংশ নিতে শুরু করেছেন। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় এবছর রাস উৎসব উপলক্ষে সঙ্গীত অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন করা হয়নি। পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার সকালে পূণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। 

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান বলেন, দুবলার চরে রাস উৎসবকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশ থেকে শুরু করে ফিরে আসা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের সব সিদ্ধান্ত মানতে হবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, দুবলার চরে রাস উৎসবে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুণ্যার্থীরা পাশ পারমিট গ্রহণ করে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন। রাসপূজা ও পুণ্যস্নান শেষে নির্ধারিত রুট ব্যবহার করে পুণ্যার্থীরা সুন্দরবন ত্যাগ করবেন।

তিনি আরও বলেন, এই আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিয়ে কোনো অবস্থাতেই সেখানে প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না।

শহিদুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়