হত্যা মামলার ২৫ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![হত্যা মামলার ২৫ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড হত্যা মামলার ২৫ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023November/Comilla-2311271216.jpg)
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় শহিদুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৯৮ সালে দায়ের করা মামলায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত-৩ এর বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
মো. শহিদুল্লাহ বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের মৃত মাওলানা আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. ইউসুফ, বনি আমিন, সোলায়মান ও আবদুল হক। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রজ্জবি বিবি।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ২৫ মে দুপুরে শহিদুল্লাহ তার জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান। তখন শহিদুল্লার সাথে আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাতের বেলা শহিদুল্লাহকে তার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা কুপিয়ে জখম করে। এই সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শহিদুল্লাহ।
এই ঘটনায় ২২ মে নিহত আসামির ভাই আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ১৫ জনের নামে চার্জশিট দেয়। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি ১৯৯৮ সালের মামলা। এই মামলায় আমরা ২৬ জনের মধ্যে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছি। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা খুশি।’
নিহত শহিদুল্লাহর ছেলে অ্যাডভোকেট আবু নাসের বলেন, ‘আমার বাবাকে যখন মেরে ফেলা হয় তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মা আমাকে ছোটবেলা থেকে একটাই শিক্ষা দিয়েছে যেন আমি বড় হয়ে আইনজীবী হই এবং আমার বাবাকে হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারি। আমি অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে একজন আইনজীবী হতে পেরেছি। আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার করতে আমি ২৬ বছর লড়াই করেছি। আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া। আমি এই রায়ে খুশি।’
রুবেল/ফয়সাল
আরো পড়ুন