ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশু হত্যায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ২৮ নভেম্বর ২০২৩  
সিরাজগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশু হত্যায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশু হত্যার ঘটনায় আলামিন (৩৬) ও রবিউল ইসলাম (২৭) দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আলামিন জেলার বেলকুচি উপজেলার চালা মহল্লার হাজী মওলানা আব্দুল মুন্নাফের ছেলে এবং রবিউল ইসলাম জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার পবাহার নয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন এই মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় প্রদানের পরে তাদের আবার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগ সুত্রে বলা হয়েছে, আসামি আলামিন ২০০৭ সালে গাজীপুর জেলার মাওনা চৌরাস্তায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। এসময় শ্রীপুর থানার টেংরা গ্রামের বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা গোপনে বিয়ে করেন।

বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে নাসরিন আক্তারের পরিবার ও স্বামী তাকে বুঝিয়ে আলামিনকে তালাক দেওয়ান। এতে আলামিন নাসরিন আক্তারের উপর রুষ্ট হয়। পরে আলামিন পুনরায় নাসরিন আক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। আলামিন নাসরিন আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আলামিন নাসরিনকে মোবাইল ফোনে ডাকে। নাসরিন তার ফুপু মেহেরুন নেছা ও ভাগ্নি জাইমাকে (৫) সঙ্গে নিয়ে আলামিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে তার দোকানে আসে। দুপুরে আলামিন দোকান কর্মচারী নয়ন সরকার ও ড্রাইভার রবিউল ইসলাম মিলে দোকানের পেছনে বিশ্রাম রুমে নিয়ে একে একে বালিশ চাপা ও গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে তিনজনের মরদেহ বস্তায় ভরে এনে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খাঁজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেছনে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরের দিন তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিচয় না পাওয়ায় এনায়েতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

মামলা চলাকালে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আজ আদালতের বিচারক আসামি আলামিন ও রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অন্য আসামি নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। 

অদিত্য রাসেল/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়