ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৫, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২১:১৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
টাঙ্গাইলের ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি, ঋণ খেলাপিসহ নানা অভিযোগে টাঙ্গাইলের আটটি আসনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।


শনিবার ও রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।


মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদা রহমান খান ও টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের জাসদ (ইনু) প্রার্থী এস এম আবু মোস্তফা, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীব ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, মো. আব্দুল হাফেজ বিলাস, সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত বিএনএম’র প্রার্থী খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারেক শামস খান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাফিউর রহমান ইউসুফজাই।


জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিন শনিবার টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী), টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) ও টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের ৩০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।


রোববার টাঙ্গাইল-৫ (সদর), টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার), টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের ৪১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।


জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও ফরিদা রহমান খান, খন্দকার আহসান হাবীব, মেহেনিগার হোসেন, জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, মো. আব্দুল হাফেজ বিলাস, সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, তারেক শামস খান, রাফিউর রহমান ইউসুফজাই ঋণ খেলাপির অভিযোগে খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ এবং জাসদের মনোনয়নপত্রে সভাপতির স্বাক্ষর মিল না থাকায় এস এম আবু মোস্তফার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।


জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৭১টি মনোনয়নপত্র নিয়েছিলাম। এরপর নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়সূচি মোতাবেক দুই দিনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। যাচাই-বাছাইকালে পুলিশ, বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ ব্যাংক, গ্যাস, পানিসহ সরকারের বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার তথ্য সংগ্রহ করেছি। মামলার তথ্য সংগ্রহ করেছি। যাচাই-বাছাইকালে যে সমস্ত প্রার্থীর মনোনয়ন সঠিক পেয়েছি, এরকম ৫৯টি মনোনয়ন গ্রহণ করেছি। এছাড়াও বিভিন্ন ভুল ত্রুটির কারণে ১২টি বাতিল করা হয়েছে। যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা ৫ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।’


তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারের সকল টিম, নির্বাচন অফিসের টিম, পুলিশের কর্মকর্তা এবং আটটি আসনের জন্য আটটি অনুসন্ধান টিম এক যোগে কাজ করে যাচ্ছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচনী বিধিমালা মানতে সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

কাওছার/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়