ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪০, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫ জনের মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভোটার স্বাক্ষরের তালিকায় গরমিলের কারণে বাদ পড়েন। এছাড়া মনোনয়ন ফরম সঠিকভাবে পূরণ না করা, নিজেই প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

রোববার জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. শাহগীর আলম যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নপত্র বৈধ ও বাতিলের তালিকা ঘোষণা করেন।

বাতিল হওয়াদের মধ্যে ৯ জন স্বতন্ত্র ও একজন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম মনিরুজ্জামান, রোমা আক্তার, আব্দুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রোমা আক্তার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ভোটার তালিকায় গরমিলে সবার বাতিল হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ মনোনয়নপত্র বাতিল হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও’র, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ও কাজী জাহাঙ্গীর। এর মধ্যে ফিরোজুর রহমান ওলিও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন, যিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত জহিরুল ইসলাম সুইডেন আওয়ামী লীগের নেতা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ ভোটার তালিকা স্বাক্ষরের গরমিল পাওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয় বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির বজলুর রহমান মিলনের। এ আসন থেকে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাকিদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আয়ের বিবরণীতে অমিল ও ভোটার তালিকায় স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভূঞার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আয়কর রিটার্ন না দেওয়ায় বাতিল হয় মোস্তাক আহমেদের মনোনয়নপত্র, যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্রে নিজেই প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। যে কারণে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ আসনের বাকি ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

ফিরোজুর রহমান বলেন, আগে থেকেই বলা হচ্ছিল আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। বাছাইয়ের সময় আমাকে জানানো হয়, স্বাক্ষর দেওয়া ১০ জন ভোটারের মধ্যে একজন অস্বীকার করেছেন। এখানে আমাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে আপিল করার জন্য।

কাজী জাহাঙ্গীর বলেন, ভোটার তালিকায় গরমিলের কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো। এর আগেও একাধিকবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় স্বাক্ষরে গরমিলের কথা বলে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয় বলে জানান তিনি।

/মাইনুদ্দীন রুবেল/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়