ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২২:১৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের ওয়েলকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। সালেহ নূর নামে এক ব্যক্তি ওই হাসপাতালটিতে হার্নিয়ার অপারেশন করানোর পর এখন অঙ্গহানির ঝুঁকিতে পড়েছেন।


মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিকার চেয়ে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর স্বজনেরা। সালেহ নূর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের বাসিন্দা।


এ ঘটনায় আইনগত প্রতিকার এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ৩ ডিসেম্বর সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সালেহ নূরের বাবা মো. সোলাইমান।


অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২১ অক্টোবর ওয়েলকেয়ার হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেড নামক বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে সালেহ নূরের হার্নিয়া অপারেশন হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম শরীফের তত্ত্বাবধানে অপারেশন করানো হয়।

অপারেশনের পর রোগীর গোপনাঙ্গে ক্যাথেটার বসানো হয়। অপারেশনের পরদিন রাতে ওই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় তড়িঘড়ি করে ক্যাথেটার খুলে ফেলে দেয়। এতে ওইস্থান থেকে রক্ত বের হয়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার এসে পুনরায় ক্যাথেটার স্থাপন করে। এতে রক্ত বন্ধ হলেও ক্ষতস্থানে ইনফেকশন দেখা দেয় এবং প্রসাবের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।


বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। বাসায় এনে ১৪ দিন পর ক্যাথেটার খুলে ফেললেও পূর্বের অসাবধানতার কারণে ক্ষত তৈরি হয়ে অবস্থার অবনতি হয়।


পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এতে প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এরপরও সালেহ নূর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়া নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।


সালেহ নূরের বাবা মো. সোলাইমান বলেন, ‘হার্নিয়ার চিকিৎসা করাতে এসে এখন আমার ছেলের জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেছে। সে পুরোপুরি হয়তো সুস্থ নাও হতে পারে। গোপনাঙ্গের ক্ষতি হলে সে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলার বিরুদ্ধে আমরা আইনী প্রতিকার চাই। আমার ছেলের জীবনে যে ক্ষতি হয়েছে, সে ক্ষতিপূরণ চাই।’


এ বিষয়ে হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমজাদ হোসেন মিস্টার’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


জেলা সিভিল সার্জন ড. আহমদ কবির বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

লিটন/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়