দুম্বা পালন করে স্বাবলম্বী হতে চান গাইবান্ধার জোবায়দুর
গাইবান্ধা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
দুম্বা পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হুরাভায়াখাঁ গ্রামের জোবায়দুর রহমান। দেড় বছর আগে ইরাক প্রবাসী ছোট ভাই ফরিদুল ইসলামের উদ্যোগে তিনটি দুম্বা দিয়ে খামার শুরু করেন বড় ভাই জোবায়দুর। সেই তিনটি দুম্বা থেকে দেড় বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে দুম্বার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০টি।
ভিন্নধর্মী এই পশুর খামার দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেক মানুষ। ইতোমধ্যে খামারে জন্ম নেওয়া দুটি দুম্বা বিক্রির উপযোগী হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হুরাভায়াখাঁ গ্রাম। সেই গ্রামে দেশি জাতের গরু-ছাগলের পাশাপাশি মরুর দেশের দুম্বা পালন করছেন জোবায়দুর।
জোবায়দুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেছেন, দেড় বছর আগে ইরাক প্রবাসী ছোট ভাই পাবনা থেকে তিনটি তুর্কি জাতের দুম্বা কিনে দেয়। ছয় মাসের মাথায় বাচ্চা দেওয়া শুরু করে দুম্বাগুলো। এখন খামারে গাড়লসহ ১০টি দুম্বা আছে। দুম্বাগুলো ভুসি ও কাঁচা ঘাস খায়। রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। আকারভেদে বিক্রি হয় ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন দুম্বাগুলোর খাদ্য বাবদ ১ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়।
তিনি আরও বলেন, মরুর প্রাণী যে আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে, তা কখনো ভাবিনি। দুম্বার পাশাপাশি খামারে আছে দেশি গরু ও উন্নত জাতের ছাগল। শখের খামারটি এখন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করতে চাচ্ছি। খামার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লাভ করিনি। দুম্বার খামারটি বড় করার ইচ্ছা আছে। ভবিষ্যতে খামারে বাণিজ্যিকভাবে দুম্বা পালন করতে পারলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
গ্রামের সাধারণ কৃষক ও দর্শনার্থীরা বলেছেন, আমরা আগে সরাসরি দুম্বা দেখিনি। এ অঞ্চলে কেউ দুম্বা পালন করে না। অনেকটা শখের বশে জোবায়দুর ও তার ভাই ভিন্নধর্মী এই পশু পালন শুরু করেছেন। দুম্বা দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। আমাদের ভালোই লাগে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান বলেছেন, এ জেলায় জোবায়দুর রহমান প্রথম দুম্বা খামারি। আমরা তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বিশ্বব্যাপী দুম্বার মাংস ও চামড়ার চাহিদা অনেক। আমাদের দেশেও দুম্বা পালন করতে আগ্রহী হচ্ছেন খামারিরা। নতুন উদ্যোক্তা ও খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মাসুম/রফিক