১৫ বছরে টুকুর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৬ গুণ
পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![১৫ বছরে টুকুর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৬ গুণ ১৫ বছরে টুকুর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৬ গুণ](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023December/tuku-2312070557.jpg)
শামসুল হক টুকু। ফাইল ফটো
গত ১৫ বছরে (তিন সংসদ মেয়াদে) পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৩ গুণ। এই সময়ের মধ্যে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৪৬ গুণ। শামসুল হক টুকুর দাখিল করা নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় শামসুল হক টুকুর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৮ টাকা। অর্থাৎ ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ১৩ গুন।
অপরদিকে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি দেখিয়েছেন ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪ হাজার ৫৫৩ টাকা। অর্থাৎ তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৬ গুণ।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩ কাঠা জমির মালিকানা দেখিয়েছিলেন। পরবর্তী দশম ও একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সেটির তথ্য উল্লেখ করেননি।
নবম হলফনামায় তার ৮ তোলা স্বর্ণ থাকলেও দশম, একাদশ ও দ্বাদশে এসে সেটি ১০ তোলায় পরিণত হয়েছে। যার দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা তোলা। নবম হলফনামায় কোনো যানবাহন খরচ বা সম্পদ দেখানো হয়নি। দশমে ৭১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৫ টাকা, একাদশে ৯৩ লাখ টাকা এবং দ্বাদশে ৭৬ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
নবম সংসদের হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে নগদ ছিল ৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে ছিল ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ছিল ১০ ভরি স্বর্ণ। যার মূল্য ৫ হাজার টাকা তোলা হিসেবে ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া, ২০ লাখ টাকা মূল্যের অর্ধেক বাড়ির শেয়ার দেখানো হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি একটি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার ঋণ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। আর একাদশে তিনটি ব্যাংক, দশমে তিনটি ব্যাংকের ঋণের তথ্য দাখিল করেছিলেন। এবারের হলফনামায় তার একটি পিস্তল রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা।
তিনি স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৭১ লাখ ৪১ হাজার ৩৬৬ টাকা। এছাড়া, ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে। তার নগদ অর্থ রয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪৭ লাখ ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।
শামসুল হক টুকুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এম কম, এলএলবি। পেশা আইনজীবী। তিনি এই পেশা থেকে বার্ষিক ২ লাখ টাকা ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাবদ বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন। আর সম্মানী ভাতা বাবদ তিনি বছরে আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু নিজ নির্বাচনী এলাকায় পৈত্রিক ভিটা ও পাবনা শহরে একটি বাড়ি রয়েছে। এছাড়া, রয়েছে কৃষি জমি।
শাহীন/কেআই
আরো পড়ুন