ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

ডোমারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩  
ডোমারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নীলফামারীর ডোমারে পাঁঙ্গা মহেশ চন্দ্র লালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর সামছুদ্দিন লিটনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছে একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগের কথা বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যেদের ফাঁকা রেজুলেশন বইয়ে অতিরিক্ত স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।

অভিযোগকারীরা হলেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মানিক চন্দ্র বর্মণ, মো. খতেজুর ইসলাম, মো. মমিনুর রহমান ও মোছা. মরিয়ম বেগম।

ম্যানেজিং কমিটির চার সদস্যের স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁঙ্গা মহেশ চন্দ্র লালা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছরের গত ৬ আগষ্ট একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রধান শিক্ষক আবু জাফর সামছুদ্দিন লিটন সুকৌশলে সদস্যদের রেজুলেশন বইয়ে অতিরিক্ত স্বাক্ষর করে নেন।

গত ৬ মাসে সদস্যদের নিয়ে বিদ্যালয়ের কোনো সভা ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সভা না ডেকে বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন হিসাব নিকাশ পূর্বে স্বাক্ষর নেওয়া ফাঁকা রেজুলেশন বইয়ে রেজুলেশন লিখে হিসাব নিকাশ দিতে তালবাহানা করেন। উল্লেখিত স্বাক্ষর নেওয়া ফাঁকা রেজুলেশন বই উদ্ধার ও বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ এর নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা মাধ্যমিক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগতির জন্য অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগকারী মানিক চন্দ্র বর্মণ বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে রেজুলেশন বইয়ের অনেক ফাঁকা কাগজে আমাদের কাছে স্বাক্ষর নেয়। এখন তিনি সেই স্বাক্ষর দিয়ে সব কাজ করছেন। আমাদের কোনো হিসাব দিচ্ছেন না এবং কোনো মিটিংও ডাকছে না।

প্রধান শিক্ষক আবু জাফর সামছুদ্দিন লিটন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর মিটিং করা হয়েছে এবং তাদের উপস্থিতির স্বাক্ষর আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

/ইয়াছিন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়