ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

ভোটের মাঠে নির্ভার গাজী

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩  
ভোটের মাঠে নির্ভার গাজী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গড়ে উঠেছে শিল্পকারখানা, আবাসন কোম্পানিসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান। আছে মালয়েশিয়ার আদলে গড়ে ওঠা পূর্বাচল উপশহর। স্থানীয়দের মতে, এই উন্নয়নের রূপকার বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। এ আসন থেকে পরপর তিনবার নৌকার মনোনয়নে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। উন্নয়নের সুবাদে ভোটের মাঠে নির্ভার আছেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন—সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, তৃণমূল বিএনপির তৈমূর আলম খন্দকার, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাকের পার্টির যোবায়ের আলম ভূঁইয়া, ইসলামী ফ্রন্টের এ কে এম শহিদুল ইসলাম। প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী।

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, গোলাম দস্তগীর গাজী সবদিক থেকেই এগিয়ে। তিন বারের সংসদ সদস্য, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, দলের সঙ্কটময় মুহূর্তেও থেকেছেন অবিচল। শিল্পপতি এবং মন্ত্রী হওয়ার পরও নিজ এলাকায় যথেষ্ট সময় দেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। একে ভালো চোখে দেখছেন না দলের নেতাকর্মীরা। তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে চান। তবে, তার পক্ষে বিএনপির হাতেগোনা কিছু নেতাকর্মী আছেন। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম দলের নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনটি একসময় বিএনপির ঘাঁটি ছিল। ২০০৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথ দখল করে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করি। দল আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় পরপর তিনবার জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। বর্তমানে এ আসনটিতে আমার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন অনেক শক্তিশালী। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসনটি উপহার দিয়েছি। এবারও তাই হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, একসময়ের অবহেলিত এই রূপগঞ্জকে সাজাতে গিয়ে আমার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বর্তমানে এখানে পূর্বাচল উপশহর, নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা, ভুলতা ফ্লাইওভার নির্মাণ, গাজী সেতু, কাঞ্চন সেতু, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, রাস্তাঘাট প্রশস্তকরণ, নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ, কর্মসংস্থানসহ নানা উন্নয়ন হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, রূপগঞ্জের সন্তানই রূপগঞ্জের এমপি হবেন। জনগণের এ চাওয়া পূরণ করতে আমি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী আছেন।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি রূপগঞ্জে গ্যাস এনেছি। বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালে রূপগঞ্জের মানুষকে চাকরি দিয়ে ২৬ মাস জেল খেটেছি। আমি হাইকোর্টে রিট করে ভূমিদস্যুদের বালু ভরাট বন্ধ করেছি। রূপগঞ্জের মানুষ চায়, আমি রূপগঞ্জ থেকে নির্বাচন করি। আমি নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জ বদলে দেবো।

জাপা প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জের শিক্ষা খাতে উন্নয়ন করব। রূপগঞ্জের রাস্তাঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন করব। রূপগঞ্জ থেকে মাদক নির্মূল করব।

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়