ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রেমার অরণ্যে বীরবিক্রম রমিজ উদ্দিনের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩  
রেমার অরণ্যে বীরবিক্রম রমিজ উদ্দিনের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা

পাহাড়ি টিলায় ঘেরা গভীর অরণ্যে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা রেঞ্জের রেমা বনবিট অফিসের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রমিজ উদ্দিন বীরবিক্রমের কবর। স্বাধীনতা দিবসে তাঁর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। 

ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান বীর বিক্রমের একমাত্র পুত্র বজলু মিয়া ও তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, ছেলে মো. আব্দুর রহমান ফাহিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর বিক্রমের সাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল্লা মিয়া, রেমা বনবিট কর্মকর্তা ফরেস্টার মাহমুদুল ইসলাম, বজলুর রহমান স্মৃতি পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মো. মামুন চৌধুরী, শাহ মো. শাহজাহান মিয়া, শাহ মো. কামালসহ প্রমুখরা। ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার জগন্নাথপুর গ্রামের ফনা উল্লাহ ছেলে রমিজ উদ্দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশস্বাধীনের শপথ নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে যুদ্ধে যান। আর ফিরে আসা হয়নি তাঁর। লাশটাও বাড়িতে নিয়ে আসা হয়নি। যদিও দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশ পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন (১৩৭৮ বাংলার ৩ আষাঢ়) চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা রেঞ্জের বালুমারা নামকস্থানে পাক হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে লড়াই করে শহীদ হন রমিজ উদ্দিন। এ বীরত্বের জন্য তাকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

আর এ বীরকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল কালেঙ্গা রেঞ্জের রেমা বনবিট অফিসের সামনে সমাহিত করা হয়। শহিদ রমিজ উদ্দিন বীর বিক্রম ছিলেন মুজাহিদ বাহিনীর সদস্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বামী হারানো শোকে মারা যান রমিজ উদ্দিনের স্ত্রীও। 

শহিদ রমিজ উদ্দিন বীর বিক্রম ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছেলে বেলা থেকে সাহসী ছিলেন। সকল বাধাকে তিনি অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার নামে ঢাকায় (শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ) কলেজ রয়েছে। কিন্তু হবিগঞ্জে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। বীর বিক্রমের ছেলে মো. বজলু মিয়া বলেন- তার বাবা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। দিবস ছাড়াও তিনি রেমায় গিয়ে কবর জিয়ারত করেন। রাষ্ট্রীয়ভাবেও তার বাবাকে সম্মান জানানো হয়।

মো. মামুন চৌধুরী/টিপু 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়