ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

বড়দিন উদযাপনে প্রস্তুত চাঁদপুরের চার্চ

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩  
বড়দিন উদযাপনে প্রস্তুত চাঁদপুরের চার্চ

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস। এই দিনটিকে বাংলায় বড়দিন হিসেবে পরিচিত। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন পালিত হবে। দিবসটি উদযাপনে প্রতিবারের মতো এবারো বর্নিল সাজে সেজেছে চাঁদপুরের গির্জাগুলো। এদিকে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিগ্নে এবং আনন্দের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করতে পারেন সে জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সম্পাদক সুভাষ মন্ডল বলেন, চাঁদপুর শহরের ২টি মিশন পাড়ায় ৩৫টি পরিবারসহ সবমিলিয়ে প্রায় ২৫০ খ্রিস্টান ধর্মালম্বী থাকেন এ জেলায়। ৫টি চার্চে বড়দিনের মধ্য দিয়ে সর্বত্র প্রভু যিশুর শান্তির বার্তা পৌঁছাচ্ছেন তারা। প্রশাসন থেকেও বড়দিনের আয়োজনে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর জেলায় খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের প্রধান উপাসনালয় হচ্ছে চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ। এটি শহরের প্রেসক্লাব সড়কের কাছে অবস্থিত। চার্চটির মোট সদস্য ১৩০ জন। এছাড়াও শহরের গুনরাজদী, সদরের বাগাদীর গ্রাম পক্ষী দিয়া, লক্ষীপুরের বহরিয়া এবং হাইমচর চরভৈরবীতে একটি করে সর্বমোট ৫টি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ রয়েছে।

আরো পড়ুন:

বড়দিনের আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে জেনিমা ও দীর্ঘসহ অন্যরা বলেন, প্রভু যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপনে আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। এবার আমরা চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে পাট দিয়ে স্টার, স্নো-বোট, কাগজ দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করে সাজাচ্ছি। দিনটিতে সান্টাক্লজ বছর শেষে বিভিন্ন উপহার দেবে সেই প্রত্যাশায় রয়েছি। তাছাড়া একে অপরকে উপহার দেওয়া এবং সবাই মিলে একত্রে প্রার্থণা করার আনন্দে মেতে উঠবো ভাবতেই খুব ভালো লাগছে।

বড়দিন প্রসঙ্গে চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক রসি বর্মণ বলেন, মাতা মেরির গর্ভে শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন প্রভু যিশু খ্রিস্ট। বড়দিনে প্রভুর শান্তির বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ধর্ম-বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি। চার্চে সবাই প্রার্থনা, দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ, সন্ধ্যায় ক্রিসমাস পোগ্রামে শিশুদের উপহার ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। এছাড়া, মিশন পাড়ার প্রত্যেকটি বাড়িতে নগর কীর্ত্তন করায় এখন উৎসবের আমেজ চলছে। আমাদের আয়োজনকে সাফল করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের বড়দিনের ধর্মীয় উৎসবসহ সব আয়োজনে নিরাপত্তা দিতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অমরেশ/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়