মাদারীপুরের আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![মাদারীপুরের আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার মাদারীপুরের আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023December/Untitled-9-copy-2312251411.jpg)
গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি বিল্লাল খান।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিল্লাল খানকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোমবার কালকিনি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার। গ্রেপ্তারকৃত বিল্লাল ভাটাবালী গ্রামের মোকলেস খাঁর ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালী গ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এসকান্দার খাঁ হত্যাকান্ডের ঘটনা হয়েছে। এসকান্দার খাঁ হত্যার ঘটনার পর থেকেই জেলা পুলিশের একাধিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে গাজীপুর থেকে মামলার প্রধান আসামি বিল্লালকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বিল্লাল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ঐ এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকিরসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ। নিহত এসকান্দার খাঁ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের সমর্থক ছিলেন। আর আসামি পক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবাহান মিয়া গোলাপের সমর্থক ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকান্দার খাঁ। এসময় মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর লোকজন হঠাৎ হামলা চালায়। এসময় তারা এসকেন্দার খাঁকে এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করে। তার পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়। বাধা দিতে গেলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এসময় স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসকেন্দার খাঁ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান।
বেলাল/ফয়সাল
আরো পড়ুন