আচরণবিধি লঙ্ঘন
কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫ জনের ক্ষমা প্রার্থনা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫ জনের ক্ষমা প্রার্থনা কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫ জনের ক্ষমা প্রার্থনা](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023December/Kustia-2312260448.jpg)
কুষ্টিয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন পৌর কাউন্সিলর ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা। একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে বলে না বলেও অঙ্গীকার করেছেন তারা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া-৩ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওই পাঁচজন কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান।
এরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রমজান দেওয়ান, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন ও কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ কৌশিক আহমেদ বিচ্চু।
মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের সকলের বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়ভীতি, হামলাসহ নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারে বাধা এবং কর্মীদের মারধর ও সাধারণ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশকে ব্যাহত করার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২২ ডিসেম্বর তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠান নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। সে প্রেক্ষিতে তারা কমিটির কার্যালয়ে হাজির হয়ে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থণা করেন এবং ভবিষ্যতে আর কখনও আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না বলে অঙ্গীকার করেন।
অনুসন্ধান কমিটির দপ্তর থেকে বেরিয়ে বটতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে মাহফুজুর রহমান নামে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, তাকে আমি চিনিও না জানিও না। সে কিভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো তা আমি দেখে নেবো, আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।
কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদ বিচ্চু বলেন, নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে আমি আমার লিখিত বক্তব্য দিয়ে এসেছি।
তবে গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। আর যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা রমজান দেওয়ানের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
কাঞ্চন/টিপু
আরো পড়ুন