সাতকানিয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে এমপি নদভী
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েও শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রীতিমত বড় চ্যালেঞ্জর মুখে পড়েছেন বর্তমান এমপি আবু রেজা নদভী। এ আসনে নদভীর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা আ.লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব। তার নির্বাচনি প্রতীক ঈগল।
সরেজমিন অনুসন্ধান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শুরুর দিকে বিচ্ছিন্নভাবে নদভীর প্রচারণা লক্ষ্য করা গেলেও সাম্প্রতিক কয়েকদিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দাপুটে প্রচারণার কাছে তিনি অনেকটা কোণঠাসা। অপরদিকে, নদভীর গানম্যান কর্তৃক অস্ত্র হাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের দায়েরের পর সেই গানম্যানকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। নদভী এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ভোটে জয়ের জন্য বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্না দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব।
গতকাল বুধবার সাতকানিয়া আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব এক নির্বাচনি জনসভায় বলেন, আমাদের এমপি আবু রেজা নদভীর চেহারা মলিন হয়ে গেছে। তিনি নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়ে ঢাকায় ধর্না দিচ্ছেন। নদভীর গানম্যান মামুন মিয়া হাতে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে ভয় দেখাতেন। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়ার পর প্রত্যাহার হয়ে গেছেন। মোতালেব বলেন, আমাদের এমপিকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। কোনও লাভ নেই, প্রধানমন্ত্রীর দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদেশিদের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগ নেতা আ ম ম মিনহাজ বলেন, গত ১০ বছর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় দুর্নীতি-লুটপাট হয়েছে। এলাকা চালিয়েছেন বেগম সাহেবা। আগামী ৭ তারিখ এই বেগম সাহেবার পতন হবে।
এদিকে, নিজের এবং স্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট আবেদন করেছেন এই আসনের আ.লীগ প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের মাধ্যমে বুধবার নদভী এ আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমাকে এবং আমার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে প্রতিনিয়ত নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে হচ্ছে। প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে ইতোমধ্যে একাধিকবার স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছি। চরতিতে আমার স্ত্রীর নেতৃত্বে নৌকার প্রচারণাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসীদের হামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ২০ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে আমার সাথে কোনও গানম্যান নেই। ফলে আমি ও আমার স্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এজন্য আমার ও আমার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব জানান, আমরা শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। নদভীর সন্ত্রাসীরা আমার সমর্থক পশ্চিম ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে গুলি বর্ষণ করেছে। মাইক কেড়ে নিচ্ছে, পোস্টার লাগাতে বাধা দিচ্ছে। আমার কোনও লোক তাদের ওপর হামলা করেনি। এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।
রেজাউল/এনএইচ
- ১১ মাস আগে চক্রান্তকারীদের সুরে কথা বলছেন ওয়ার্কার্স পার্টির বাদশা
- ১১ মাস আগে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পরাজয় রাঙ্গার
- ১১ মাস আগে মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গরু-টাকা লুট
- ১১ মাস আগে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে : লতিফ সিদ্দিকী
- ১১ মাস আগে বরিশালে পুলিশি বাধায় পন্ড বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল
- ১১ মাস আগে নৌকার সমর্থকদের মারধর: বাকেরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
- ১১ মাস আগে পঞ্চগড়ে যুবলীগ নেতাকে মারধর: গ্রেপ্তার ৩
- ১১ মাস আগে স্থগিত আসনে নৌকা প্রতীকের নিলুফার জয়ী
- ১১ মাস আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওলিও’র বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার মানহানি মামলা
- ১১ মাস আগে গৌরীপুরে স্থগিত কেন্দ্রে ভোট শনিবার
- ১১ মাস আগে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন আর চা-শ্রমিকদের ভোটই ব্যবধান গড়েছে
- ১১ মাস আগে নেতাকর্মীদের বিভক্তি-দ্বন্দ্বে হেরেছেন মমতাজ
- ১১ মাস আগে যে কারণে হারলেন স্বপন ভট্টাচার্য
- ১১ মাস আগে মহিববুর হলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
- ১১ মাস আগে ভোট পুনঃগণনার দাবি করলেন নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম