উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পিছিয়ে পড়া জনপদ ছিল। ২০০৮ সালের আগে এই উপজেলায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ছাড়া আর কোনো রাস্তা পিচঢালা ছিল না, আর এখন রাঙ্গুনিয়ার কোনো সড়ক পিচঢালা কার্পেটিং করা হয়নি সেটি খোঁজ নিতে হয়। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে আমি যাই, রাস্তায় কোনো গর্ত হয়েছে কিনা দেখতে। এসব উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্ভবপর হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।’  

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পদুয়া রাজারহাট হাসপাতাল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভাতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপাধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ মানুষের জন্য ১৮ প্রকার ভাতা দিচ্ছে। টিসিবি পণ্য, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদানসহ প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ উপকারভোগী। এসব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাছাই করিনি। যার প্রয়োজন তাকেই উপকারভোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে ভাতা দেবো, বিনামূল্যে বই দেবো, বিনামূল্যে চাল দেবো, রাস্তা-ঘাট বানাবো, মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেবো তাহলে আমরা কি ভোটটা পাবো না?  

তিনি আরও বলেন, আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমি গত ১৫ বছরে ২৪টি নতুন মসজিদ করেছি এই রাঙ্গুনিয়ায়। প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা একাধিকবার উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছে। করোনা মহামারির সময় প্রায় ২ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। উপজেলা সদরে একটি এতিমখানা করছি, ইতোমধ্যে চারতলা হয়ে গেছে, আরও দুইতলা হবে। এক কোটি টাকার ঢেউটিন ফ্রি দিয়েছি। সরকারের বাইরে আমি নিজস্ব উদ্যোগে ৫২টি নতুন ঘর করে দিয়েছি। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ইচ্ছে করে মাঝেমধ্যে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে যাই। সড়কে গর্ত হয়েছে কিনা দেখার জন্য। এখন দেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে। রাঙ্গুনিয়ার গ্রাম গ্রামান্তরে এখন ৮-১০ তলা বিল্ডিং। এসব কোন যাদুর কারণে পরিবর্তন হয়নি। এসব সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। 

পদুয়া প্রত্যন্ত জনপদ ছিল উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন পদুয়া একটি আধুনিক জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। শিলক খালের ওপর চারটি ব্রিজ হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এমন কোনো স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ নেই যেখানে ভবন হয়নি। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। গত ১৫টি বছর কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কিংবা কে কোন দল করে, তা কখনো দেখিনি। আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষের মাইকিং করেছে, এমন ছেলের চাকরিও আমার হাত দিয়ে হয়েছে। 

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর, বেদারুল আলম চৌধূরী বেদার, আব্দুল মোনাফ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বাদশা, নুরুল আবছার তালুকদার, মো. শফিকুল ইসলাম, মুজিবুল ইসলাম সরফি, আরজু সিকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।