ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

ভোট নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোকারীদের চিনে রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২২, ১ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২১:২৩, ১ জানুয়ারি ২০২৪
ভোট নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোকারীদের চিনে রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের সময় মানুষের পাশে দেখা যায়নি বিএনপি-জামায়াতকে। বন্যার সময়ও তাদের দেখা পাওয়া যায় না। কারো দরজায় এক মুঠো চাল নিয়ে তারা যায়নি। তারা মানুষের পাশে না থেকে এখন লিফলেট নিয়ে এসেছে ভোট বর্জনের জন্য। ভোট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোকারীদের চিনে রাখতে হবে।’   

সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের লিচুবাগান চত্বরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লিফলেট কেউ দেখেও না, কেউ পড়েও না। বিএনপির নেতা যারা লিফলেট বিতরণ করেন, তারা ১০টি লিফলেট বিতরণ করে ছবি তুলে আবার গলির ভেতরে পালিয়ে যান, মানুষ ধাওয়া করবে এই ভয়ে। এরপর ছবি তারা ফেসবুকে দেন। 

আরো পড়ুন:

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আগে রাঙ্গুনিয়ার কি অবস্থা ছিল, এখন কি হয়েছে, তা আপনারা ১৫ বছর আগের কথা চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন। কর্ণফুলি নদীতে ব্লক বসানো না হলে চন্দ্রঘোনা দোভাষি বাজারসহ অনেক এলাকা ভেঙ্গে যেত। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে গত ১৫ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আগে রাঙ্গুনিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। সারাদেশে এই যে পরিবর্তন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে সম্ভবপর হয়েছে। 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২২ ধরণের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এসব ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কে বিএনপি কে সেটা কখনো দেখা হয় না। যিনিই পাবার যোগ্য তাকেই দেওয়া হয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে কিন্তু যারা ধানের শীষে ভোট দিয়েছে, শুধু তাদেরকেই দিতো। আগেও সরকারের টিআর খাবিকা প্রকল্প ছিল। তখন যারা এমপি ছিল, তারা সেগুলো রাঙ্গুনিয়ায় আনেননি। সেগুলো মদুনাঘাটের ব্রিজের আগেই ভাগবাটোয়ারা হয়ে যেত।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইদ্রিছ আজগর, আবু তাহের, হারুন সওদাগর, ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী ও আবু মনছুর প্রমুখ। 

রেজাউল/মাসুদ

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়