নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুর: শুনানিতে অভিযোগই করেননি জানান অভিযোগকারীরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ আসনে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে অভিযোগকারীরা এ ধরণের অভিযোগই করেননি বলে তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান।

আদালত পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে কারো বিরুদ্ধে অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। এ জাতীয় ঘটনায় কার্যত প্রতিপক্ষের সাথে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে উস্কে দিয়ে নির্বাচনি পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা মাত্র।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী ও তার ছোটভাই বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহর পাঁচ ইউনিয়নের নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করা হয়। জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন নৗকা প্রার্থীর সমর্থক দুই ইউপি সদস্যসহ পাঁচ জন।

মঙ্গলবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও কুষ্টিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহা. আসাফ-উদ-দৌলার কার্যালয়ে অভিযোগকারীরা সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য শুনানিতে অংশ নেন।

এসময় অনুসন্ধান কমিটিকে জানান, তারা কেউ এ অভিযোগ করেননি বা এ সংক্রান্ত কোনো ঘটনার কথা তারা জানেনও না। এখানে যারা স্বাক্ষর করেছেন, সেগুলিও তাদের নয়। কে বা কারা এই অভিযোগ করেছেন তাও তারা জানেন না।

অভিযোগে যাদের স্বাক্ষর রয়েছে তারা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মহির, চিলমারি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কুটু, দক্ষিণ গরুড়া গ্রামের তাহাজ্জুত হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন, পূর্ব ফিলিপনগর গ্রামের মৃত. মুল্লুক মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এবং ঝাউদিয়া গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে পলাশ।

এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে, তার ছেলে নির্বাচনি এজেন্ট শাইখ আল জাহান শুভ্র বলেন, এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে কোনও তথ্য আমার জানা নেই।

স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই ও নির্বাচনি এজেন্ট বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল বা হয়রানি করতেই এ ধরনের অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে। যার কোনো ভিত্তি নেই।