রাজনৈতিক নয়, জমি নিয়ে বিরোধে খুন হন জাহাঙ্গীর: পুলিশ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত (৫০) রাজনৈতিক বা নির্বাচনি সহিংসতার কারণে নয় বরং জমিজমা সংক্রান্ত জেরে হত্যার শিকার হয়েছেন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: মঠবাড়িয়ায় নিবার্চনি সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর মৃত্যু

পুলিশ সুপার শরীফুল ইসলাম জানান, গত বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে বাদুরা গ্রামে প্রতিপক্ষ সিরাজ ফরাজীর হামলায় গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীর। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়।

বুধবার রাতে নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বুলু বেগম স্থানীয় সিরাজুল ফরাজীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত সিরাজ ফরাজীকে শুক্রবার সকালে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করে। জাহাঙ্গীর মারা যাওয়ার পর স্বজনেরা দাবি করেন, তিনি পিরোজপুর- ৩ আসনে ‌‘কলার ছড়ি’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজের কর্মী ছিলেন। তাদের অভিযোগ ‘ঈগল’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রুস্তুম আলী ফরাজীর লোকজনই রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছে। তবে, জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় রাজনৈতিক কোনো বিষয়ের কথা উল্লেখ নেই।