ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

নৌকায় উঠেও ওয়ার্কার্স পার্টির বাদশার ভরাডুবি

রাজশাহী প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩১, ৭ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:২৩, ৭ জানুয়ারি ২০২৪
নৌকায় উঠেও ওয়ার্কার্স পার্টির বাদশার ভরাডুবি

অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও ফজলুল হোসেন বাদশা

রাজশাহীর-২ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পর পর তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এবারও উঠেছিলেন নৌকায়। তবে শেষ রক্ষা হলো না। নৌকা ডুবিয়ে দিলেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। ২৩ হাজার ৪৪০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে প্রথমবার এমপি পদে নির্বাচন করা শফিকুর রহমান বাদশার কাছে ধরাশায়ী হলেন প্রবীণ রাজনীতিক ফজলে হোসেন বাদশা। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণের পর রাত পৌনে ৯টায় রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রজেক্টরের পর্দায় ভোটের এই ফল দেখানো হয়। এতে দেখা গেছে, কাঁচি প্রতীকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট। আর নৌকা প্রতীকে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট। এই নির্বাচনে ফজলে হোসেন বাদশা ভরাডুবি হয়েছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা ২০০৮ সালে জোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীক পান। তবে সেবার প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনাভোটে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এমপি হন। এই তিনটি নির্বাচনেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ তার পাশে ছিল। 

তবে ব্যতিক্রম এবার। আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠে ফজলে হোসেন বাদশা বারবার এমপি হলেও এ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে। জোটের রাজনীতিতে ফজলে হোসেন বাদশা এবার নৌকা পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা। মহানগর আ.লীগ সভা করে তাকে সমর্থন জানায়। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ তার অনুসারীরা ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু ওয়ারকার্স পার্টি আর ডাবলু সরকার অনুসারীদের ভোটে জিততে পারলেন না ফজলে হোসেন বাদশা।

রাজশাহী-২ আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের আরেক শরিক জাসদের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৪ ভোট। এ ছাড়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ইয়াসির আলিফ বিন হাবিব ছড়ি প্রতীকে ৩০৮ ভোট, বিএনএমের প্রার্থী কামরুল হাসান নোঙ্গর প্রতীকে ২২৩ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মারুফ শাহরিয়ার ডাব প্রতীকে ৪০৭ ভোট ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীকে ১ হাজার ৮২৬ ভোট পেয়েছেন। 

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ভোটারের তুলনায় ভোট পড়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। 

কেয়া/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়