ঢাকা     রোববার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে ৫৯৮১ হেক্টর জমিতে তেল জাতীয় ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১০, ১০ জানুয়ারি ২০২৪  
গোপালগঞ্জে ৫৯৮১ হেক্টর জমিতে তেল জাতীয় ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

গোপালগঞ্জের একটি সরিষার ক্ষেত। ফাইল ফটো

ভোজ্য তেলের ওপর চাপ কমাতে গোপালগঞ্জে ৫ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে তেল জাতীয় ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর ফলে, তেল আমদানি নির্ভরতা একদিকে যেমন কমে আসবে ঠিক একইভাবে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৪৯৩৬ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৪০৬ হেক্টর জমিতে তিল, ৫১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৫৮৮ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম আবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৫৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ১৬৬ হেক্টর জমিতে তিল, ১২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৪৬৩ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম আবাদ করা হচ্ছে। মুকসুদপুর উপজেলায় ১৫৯৬ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৯০ হেক্টর জমিতে তিল, ৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৩৫ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম আবাদ করা হবে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৮৫ হেক্টর জমিতে তিল, ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৩৫ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম আবাদ হচ্ছে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৫০ হেক্টর হমিতে সরিষা, ৩৫ হেক্টর জমিতে তিল, ৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৩০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে।

এছাড়া, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৩০ হেক্টর জমিতে তিল, ১২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ও ২৫ হেক্টরে চিনা বাদাম আবাদ করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কৃষককে দিয়ে উচ্চ মূল্যের ফসল ফলানোর জন্য কাজ করছি। তেল জাতীয় ফসল উচ্চ মূল্যের ফসল। কৃষকরা তেল জাতীয় উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে লাভবান হবেন।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার ৭ হাজার ৪৪০ জন কৃষককে সরকার তেল জাতীয় ফসল আবাদ বৃদ্ধিতে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার দিয়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গোপালগঞ্জ জেলায় ৫৭৪৩ হেক্টর জমিতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ করেন কৃষক। সেখান থেকে ৭ হাজার ৮৩৫ টন তেল জাতীয় ফসল উৎপান হয়। সে হিসেবে এ বছর গোপালগঞ্জে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্য স্থির করে মোট ৫ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে তেল ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে জেলায় এবছর ১২০০ টন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তেল আমদানিতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। তাই সরকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ভোজ্য তেলের আমাদানি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তাই তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার প্রদান করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা খোরপাশের কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে পারব। দেশ আরো সমৃদ্ধ হবে।

বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়