ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

ভাঙ্গায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ১২ জানুয়ারি ২০২৪  
ভাঙ্গায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে একটি পক্ষ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

আরো পড়ুন:

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আদম, কাওছার, জাকারিয়া ও অহিদকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছোট খারদিয়া গ্রামে দুই দলের নেতৃত্ব দেয় কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর। এই দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

গত ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মাতুব্বর নামে একজন মারা যায়। তখন কাউছার মাতুব্বরসহ তার দলের প্রায় ৫৫ লোককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই হত্যা মামলায় কাওছার মাতুব্বরসহ সকলে দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়।

এ ঘটনার জের ধরে, কাওছার মাতুব্বরের দলের প্রবাসী পান্নাল মাতুব্বর মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে মাস খানেক ধরে দেশে আসে। পান্নাল তার দলের মামলা মোকদ্দমার সমস্ত খরচ বহন করতো। পান্নাল দেশে আসার পর থেকে জলিল মাতুব্বরের দলের লোকজন পান্নালকে মারধর করার জন্য যড়যন্ত্র করতে থাকে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন পান্নালকে মারতে এলে তখন পান্নালের দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫জন লোক আহত হয়।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।

তামিম/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়