চাঁদপুরের হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী
চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাঁদপুরে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বিস্তার লাভ করেছে। প্রতিদিনই অসুস্থ শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরা ছুটছেন হাসপাতালগুলোতে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও এ্যাজমা আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যাই বেশি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) চাঁদপুর সদর ও আশপাশের হাসপাতালগুলো ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের ডায়রিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শীতে ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুরা রোটা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের বয়স ৫ বছরের নিচে তাদের ডায়রিয়া হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০’র বেশি শিশু এই হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পেতে ভর্তি হচ্ছে। অনেক অভিভাবক আবার তাদের সন্তানদের নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালেও যাচ্ছেন।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩৪ জন শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রন্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬১ জন শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছে। অন্যত্র রেফার্ড করতে হয়েছে ২০ শিশুকে। এখন পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ১১৭ শিশু। এদের বেশিরভাগই ছেলে।
চাঁদপুর মতলব ডায়রিয়া হাসপাতাল সূত্র জানায়, দিনে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী মতলব ডায়রিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। নতুন বছরের প্রথম দশ দিনে ভর্তি করা হয় ২ হাজার ৩৮০ জন শিশুকে। শীত মৌসুমে গড়ে দৈনিক ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ভর্তি হচ্ছে। চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রায় ৩৫টি উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত রোগী আসছে। দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। দূর থেকে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুদের অভিভাবকেরা এখানে চিকিৎসাসেবা পেয়ে সন্তুষ্ট।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ. কে. এম. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীত আসলে প্রতিবছরই ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আমাদের এই হাসপাতালে শিশু রোগীর জন্য অনুমোদিত আসন রয়েছে মাত্র ৪২টি। তবুও রোগীর স্বজনরা এখানে আসলে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। আমরা শিশুদের যত্ম নিতে ওষুধের পাশাপাশি নানা ধরনের সচেতনতামূলক পরামর্শও দিচ্ছি অভিভাবকদের।
অমরেশ/মাসুদ