নীলফামারীর হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগী বাড়ছে

নীলফামারীতে তীব্র শীতে মানুষ জ্বর-সর্দি, ডায়েরিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন আক্রান্তরা। তাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করা বেশি। 

রোববার (১৪ জানুয়ারি) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ঠাণ্ডাজনিত রোগীদের ভিড় দেখা যায়।  

পৌর শহরের শান্তিনগর মহল্লার ডায়েরিয়া আক্রান্ত শিশু আদিবার মা বলেন, ‘আমার ১০ মাসের শিশু আদিবার পাতলা পায়খানা শুরু হয়। তারপর সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কিছুটা কমেছে।’

চওড়া ইউনিয়ন থেকে আসা শিশু রোগীর মা বলেন, ‘আমার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট ও জ্বর হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।’

ডোমার উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোমানের মা বলেন, ‘সকালে ছেলেকে নিয়ে এসেছি। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর উঠছে। ভর্তির পরপরই একবার ডাক্তার এসে দেখে গেছে। বর্তমান ছেলে কিছুটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।’

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ নার্স মনিরা বেগম বলেন, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১০টি শয্যা রয়েছে। সেখানে আরও কিছু শয্যা যুক্ত করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। আর এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ জনের উপরে শিশু চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে। ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুর রোগী বাড়ছে।

হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আউয়াল বলেন, শীতের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। কনকনে ঠান্ডায় ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতজনিত রোগ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসিবুর রহমান বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের তিনি বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। 

নীলফামারীর সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।