ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

উষ্ণতার খোঁজে নাটোরে চায়ের দোকানে ভিড়

আরিফুল ইসলাম, নাটোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪  
উষ্ণতার খোঁজে নাটোরে চায়ের দোকানে ভিড়

নাটের একটি টং দোকানে চা পান করছেন কয়েকজন

নাটোরে জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় এখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। পাশাপাশি শীতে জবুথবু হয়ে অনেককেই উষ্ণতার খোঁজে ভিড় করতে দেখা গেছে পাড়া-মহল্লা, মহাসড়কের পাশের চায়ের দোকানে। শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় দোকানগুলোর সামনে এখন গলায় মাফলার জড়ানো মানুষদের দুই হাতে চায়ের কাপ ধরে উষ্ণতা নিয়ে চা পান করতে দেখা যাচ্ছে।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) নাটোরের নীচা বাজার, রেলওয়ে স্টেশন চত্বর, বড় হরিশপুর আদালত চত্বর, মাদ্রাসা মোড়, নলডাঙ্গা হাট, পাটুল বাজার, বাঁশিলা কাঁচারি বাজারসহ  কয়েকটি এলাকায় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। 

কৃষক শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, শীতে জমিতে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। তাই কাজের ফাঁকে দোকানে গিয়ে চা পান করি। এক কাপ গরম চা শরীরকে উষ্ণ করে তোলে।  

আরো পড়ুন:

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুকুল মোল্লা বলেন, এমনিতে সারাদিনে ৩-৪ কাপ চা পান করা হয়। কিন্তু প্রচণ্ড শীত থাকায় চা পানের পরিমাণও বেড়েছে। কারণ খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতে বসে মালামাল বিক্রি করতে খুবই কষ্ট হয়। এই শীতে চায়ে চুমুক দিলে অনেকটাই স্বস্তি মেলে। তাই চা পান করতে একটু বেশি চায়ের দোকানে  যাওয়া হচ্ছে। 

চা বিক্রেতা মাহাবুবুর ফৌজদার বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পযর্ন্ত দোকানে চা তৈরি করে বিক্রি করি। আমার দোকানে এবারের শীতে অনেক কাপ চা প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে।  

অপর চা বিক্রেতা মসিউর রহমান মুন্না বলেন, শীতের তীব্রতা কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পাওয়ায় চা বিক্রিও কয়েকগুণ বেড়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন দোকানে বসে গল্প করেন আর টিভি দেখে চা পান করছেন।  

চা বিক্রেতা বাবলু শেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চায়ের চাহিদা বেড়েছে। আগে যেখানে দৈনিক প্রায় ৩০০ কাপ চা বিক্রি হতো। এখন ৪০০ কাপের বেশি চা বিক্রি হচ্ছে। শীতের সকালে খেটে খাওয়া মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষরা আসছেন আমার দোকানে চা পান করতে।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়