ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

ব্যক্তিগত বিবাদকে নির্বাচনি সহিংসতা বলে প্রচারের অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪  
ব্যক্তিগত বিবাদকে নির্বাচনি সহিংসতা বলে প্রচারের অভিযোগ

রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় ব্যক্তিগত নানা বিবাদকে নির্বাচনি সহিংসতার নামে প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন বাঘা ও চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ দুই উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন রাজশাহী-৬।

এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন শাহরিয়ার আলম। তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। রাহেনুল হকের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে ও পরে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর রাহেনুল হক নিজেও সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ তোলেন। এছাড়া তার সমর্থকেরাও আলাদা একটি সংবাদ সম্মেলন করে  অভিযোগ করেন।

বাঘা-চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, কোথাও নির্বাচনি সহিংসতা ঘটেনি। ব্যক্তিগত বিবাদের কারণে ঘটা বিভিন্ন ঘটনাকে নির্বাচনি সহিংসতা বলে প্রচার করা হচ্ছে। এটি বিজয়ী প্রার্থী শাহরিয়ার আলমের সম্মানহানি করার ষড়যন্ত্র।

আরো পড়ুন:

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- শাহরিয়ার আলমের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট সাইফুল ইসলাম বাদশা। তিনি বলেন, পরাজিত প্রার্থী রাহেনুল হক নির্বাচনের তিন দিন পর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাঘা-চারঘাটে তার সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি দাবি করেন, ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকেই রাহেনুল হকের কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীরা ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। তারাই নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে। একটি এলাকায় নৌকার পক্ষে গণজোয়ার ছিল। সে কারণে ওই এলাকায় ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাঁচি প্রতীকের সমর্থক সাংস্কৃতিক কর্মী শিমুল সরকারকে মারধরের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে, তিনি সিনেমা নির্মাণের জন্য এলাকার লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। লোকজন তার কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছে। এটিকেও নির্বাচনি সহিংসতার নামে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, সদস্য মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়