ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

পিছিয়ে গেলো নোয়াখালীর গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলার রায় 

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১২:০৯, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪
পিছিয়ে গেলো নোয়াখালীর গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলার রায় 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার  গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামি ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আলোচিত এ মামলার রায় দেওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এজলাসে উঠে রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। 

এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ধার্য করেছিলেন বিচারক।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেস্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামে স্বামী এবং সন্তানদের বেঁধে রেখে প্রথমে ওই গৃহবধূকে বেদম মারধর ও পরে গণধর্ষণ করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে ঘটনাটি ঘটায় তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে। নির্যাতনের শিকার নারী ৪ সন্তানের জননী ছিল। তার অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন। ধর্ষণের ঘটনার পর রুহুল আমিনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি তাদের বাড়ির সামনে গত কয়েকদিন ধরে মহড়া দিচ্ছে। বিষয়টি তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে অবহিত করেনি। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করে। কোনো সাক্ষীই ভোট কেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেনি। মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মো. মিন্টু ওরফে হেলাল নামে একজন আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। 

ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলার রায় আজ হওয়ার কথা থাকলেও বিজ্ঞ বিচারক তারিখ পিছিয়ে আগামি ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন। 

সুজন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়