ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

ফেনীতে জমে উঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার

ফেনী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪  
ফেনীতে জমে উঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার

পৌষের বিদায় আর মাঘের আগমনে ফেনীতে জেঁকে বসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে গত ৩/৪ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি কোথাও। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে তাই কম দামে গরম কাপড় কিনতে ফুটপাত কিংবা অস্থায়ীভাবে বসা শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় ভিড় করছেন নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। ক্রেতাদের কাছে নতুন পোশাকের তুলনায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে আনা গাঁইটের পুরাতন গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন এখানকার কাপড়ের ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও রাজাঝির দিঘির পশ্চিম পাড়ে স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানে ভিড় করছেন। দোকানদারও পুরাতন কাপড়ের গাঁইট খুলে মান বুঝে আলাদা আলাদা করে গরম কাপড়ের দাম হাঁকছেন। সর্বনিন্ম ৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় শীতের কাপড় পাওয়ায় যায় এখানকার দোকানগুলোতে। এবারের শীতে বেচাকেনা বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

পুরাতন শীতের কাপড় ব্যবসায়ী রিপন বলেন, মৌসুমের শেষের দিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিনই ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। পুরাতন পোশাক বলে বেশি দাম না পাওয়া গেলেও প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০ হাজার টাকা বেচাকেনা হচ্ছে। সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত শীতের কাপড় পাওয়া যায় আমার দোকানে।

বিদেশ থেকে আসা গাঁইটের পুরাতন কম্ফোর্টার বিক্রেতা সালাহউদ্দিন বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাতুনগঞ্জ থেকে আনা গাঁইটের পুরাতন কম্বল ও কম্ফোর্টারের চাহিদাও বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন ১৫/২০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। কম দামে পাওয়া যায় বলে শহরের মানুষরাও এসব কম্বল কম্ফোর্টার কিনছেন। মান বুঝে একেকটি কম্ফোর্টার সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। দামে কম হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষই এসব পণ্য বেশি কেনেন।

আবদুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাসার দারোয়ানের জন্য এখান থেকে ১ হাজার টাকা দিয়ে একটা কম্পোর্ট কিনেছি। জিনিসটা পুরোনো হলেও শীতে আরাম দায়ক হবে। আশা করি দারোয়ান খুশি হবে।

শিল্পী আক্তার নামে এক গৃহিণী বলেন, ফেনীতে কমদামে শীতের জামা কাপড়ের জন্য সবচেয়ে সেরা জায়গা দিঘির পাড়ের দোকানগুলো। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা এখানে বেশি আসেন।

সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়