ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে চলছে তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৩:২১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪
স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে চলছে তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার কাজ

ছবি: রাইজিংবিডি

গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ তীরে বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।  

দুই পর্বের এই বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন। 

বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ময়দান প্রস্তুতে শেষ মুহূর্তের কাজ। গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে তাবলীগ জামাতের সাথিরা ও সর্বস্তরের মানুষ সম্মিলিতভাবে এসব কাজ করছেন। শীত মাড়িয়ে এবার দেশ বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের আগমন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে এগিয়ে চলছে প্রস্তুতির কাজ। কেউ ইজতেমা ময়দানে নামাজের দাগ কাটছেন, কেউ বিদ্যুত সংযোগের কাজ করছেন, কেউ প্যান্ডেলের চট সেলাই করছেন, কেউ করছেন খুঁটির ওপর চট টাঙানোর কাজ। আবারে অনেককে ময়দান পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। মঞ্চ তৈরির কাজেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে কামরা। এসব কাজে বৃদ্ধ ও যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকেরাও এসেছেন স্বেচ্ছায় ইজতেমার কাজে অংশ নিতে।

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের সম্পূর্ণ মাঠ ইতোমধ্যেই খুঁটি বসানো শেষ হয়েছে। নামাজে দাগ কাটাও প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে ময়দানটি। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশের সামিয়ানা টাঙানোর কাজ প্রায় শেষ। মাইকের জন্য বৈদ্যুতিক তার স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে।

গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের (জুতার মার্কেট) আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় ৭০ জন এসেছি ইজতেমা মাঠে। আমরা ভাগ করে কাজ করছি। আমাদের মতো দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে শতশত লোক কাজ করছেন। 

এদিকে বিশ্ব ইজতেমা সফল ও সুশৃঙ্খল রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও সিটি করপোরেশন থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।

রেজাউল/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়