ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

খানাখন্দে ভরা যশোর পৌরসভার মেঠোপুকুর রাস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৩, ২১ জানুয়ারি ২০২৪  
খানাখন্দে ভরা যশোর পৌরসভার মেঠোপুকুর রাস্তা

প্রায় দুই যুগ ধরে যশোর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বারান্দিপাড়ার মেঠোপুকুরের দুই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ রাস্তা খানাখন্দে ভরা, আবার রাস্তা ভেঙে পুকুরে চলে গেছে। অন্যদিকে রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

এখন শীতকাল চললেও এখনও ওই রাস্তায় গর্ত, খালাখন্দ দেখা যাচ্ছে। রিকশা ভ্যান, বাইসাইকেল এই রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী। এমনকি মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে মেঠোপুকুরপাড়ের দেড় হাজার বেশি সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছে। এতে সব চেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থী, বয়স্করা ও রোগীরা।

বারান্দিপাড়া মেঠো পুকুরপাড়া বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘দুই দিন আগে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যায়। রাতে হাসপাতালে নেয়ার জন্য রিকশাওলাকে বললে ৫ মিনিটের পথে জন্য ২০০ টাকা ভাড়া চান। ২০০ টাকা না দিলে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারব না বলে জানিয়ে দেন রিকশা চালক।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙার রাস্তায় বেশি টাকা না দিতে পারলে অনেক সময় রোগীদের কাঁধে বা কোলে করে মেইন রোডে নিয়ে যেতে হয়। সব চেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয় প্রসূতি মায়েদের নিয়ে।’

আব্দুর রশিদ নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ২০০১ সালে রাস্তাটি তৈরি করা হয়। তারপর থেকে সংস্কার করা হযনি। রাস্তার পাশ দিয়ে তৈরি ড্রেনের উপরে ঢাকনাও ভেঙে গেছে। অধিকাংশ জায়গায় ড্রেনের উপরে ঢাকনা নেই। অনেক সময় বাচ্চারা ড্রেনের মধ্যে পড়ে যায়। রাতে চলতে গেলে হোঁচট খেয়ে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যেতে হয়।

রহিমা বেগম, ইনা মন্ডল, সৌখিনাসহ সাত জন নারী বলেন, ‘৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। ভোট আসলে উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পরে আর কাজ করেন না তারা। ২৩ বছর আগে রাস্তা হয়েছে। তারপর সংস্করণ বা উন্নয়ন হয়নি।’

রাস্তার সংস্কারের দাবিতে রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে যশোর বারান্দিপাড়া মেঠোপুকুরপাড়া কমিউনিটি ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে কয়েকশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

যশোর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুর রহমান বলেন, মেঠোপুকুরপাড়া রাস্তা নিয়ে যশোর পৌরসভায় আলোচনা করা হয়েছে। দ্রুত মাপজোঁক করে ঢাকায় পাঠানো হবে।

যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, ‘৪০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খবু দ্রুত মেঠোপুকুরসহ ছোট-বড় অনেক রাস্তার সংস্করণ ও নির্মাণ করা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে যশোর পৌরসভার ছোট বড় আর কোনো রোড খারাপ থাকবে না বলে আশা করি।’

রিটন/বকুল 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়