ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ২১ জানুয়ারি ২০২৪  
কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মামুন হাইকোর্ট থেকে তিন মাসের আগাম জামিনে মুক্তি নিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ২১ মে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বিচার প্রার্থী হন। বিচারক মো. রেজাউল করিম অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

আরো পড়ুন:

অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, কয়েক বছর আগে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে তার ফোনে পরিচয় হয়। আর এমন পরিচয়ের সুবাদে ফোনে কথাবার্তায় একসময় তাদের মধ্যে আন্তরিকতা ও প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। এরপর মামুন ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের ৫ মার্চ বিকেলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারপর গল্প করার একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক কয়েকবার ধর্ষণ করেন। এসময় মামুন এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। এরপরও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ধর্ষণ করেন। একসময় ওই নারী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে একজন মৌলভী ডেকে বিয়েও করেন। কাবিনের কথা বললে মামুন তাকে খারাপ মেয়ে বলে গালিগালাজ করেন এবং বিয়ে না করার কথা জানিয়ে দেন। পরে তারা স্থানীয়ভাবে সালিশি দরবারের আয়োজন করলেও মামুন দরবারের মুখোমুখি হননি।

অবশেষে বাধ্য হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশায় ওই নারী গত ২০২৩ সালের ২১ মে মামুনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

রুমন/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়