ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

বরিশালে খননের নামে চলছে খাল পরিষ্কারের কাজ

বরিশাল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২২ জানুয়ারি ২০২৪  
বরিশালে খননের নামে চলছে খাল পরিষ্কারের কাজ

ভেকু দিয়ে চলছে বরিশাল সাগরদী খাল পরিষ্কারের কাজ।

বরিশাল নগরীর ছয়টি খাল খননের নামে শুধু আবর্জনা পরিষ্কার করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। গত সপ্তাহে এ কাজ শুরু হলেও আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি।

শুরু থেকেই এ ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। এদিকে উচ্ছেদের কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, শুধু ময়লা পরিষ্কারই নয় খালও খনন হচ্ছে।

পাউবো সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল নগরীর সাতটি খাল খননের জন্য ২০২২ সালের মার্চে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু একই বছরের ১২ এপ্রিল সিটি করপোরেশন খননকাজ বন্ধ করার জন্য পাউবোকে চিঠি দেয়। তবে দীর্ঘদিন পর আবার কাজ শুরু হয়েছে। সাতটি খালের ১৭ কিলোমিটার খনন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। খালগুলো হচ্ছে সাগরদী খাল (৩ কিলোমিটার), রূপাতলী খাল (১ দশমিক ১ কিলোমিটার), চাঁদমারি খাল (১ দশমিক ৮ কিলোমিটার), ভাটার খাল (১৮০ মিটার), জেল খাল (২ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার), পলাশপুর খাল (১ দশমিক ৭ কিলোমিটার) এবং আমানতগঞ্জ খাল (৩ কিলোমিটার)। এর মধ্যে ভাটার খাল খনন কাজ এখনও শুরু হয়নি।

সাগরদী খালপাড়ের বাসিন্দা মাসউদ সিকদার বলেন, আমরা খালের পাড়ে যারা বসবাস করি। খাল পরিষ্কারই নয় এটাকে আবারো খনন করা প্রয়োজন। খালের দুই পাশে ব্লক ফেলে সীমানা নির্ধারণ করার দাবি জানান তিনি। নতুবা এই খননের নামে ময়লা পরিষ্কারে কোনো লাভ হবে না। এমনটা হলে আবার দখল হবে।

পলাশপুর খালপাড়ের বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, খাল খনন করার আগে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে। কিন্তু তা তো হচ্ছেই না; বরং খননের নামে কেবল আবর্জনা পরিষ্কার চলছে। এমনটা হলে কিছুদিন পর আবার খাল ভরাট হয়ে যাবে।

এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে পলাশপুর খালের পাশে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এসময় তারা বলেন, পলাশপুর খাল দিয়ে একসময় নৌযান চলাচল করতো। পানি কমে যাওয়ায় দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উঠিয়ে খালটি ভরাট করা হয়। সিটি মেয়র ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, খননের নামে খাল পরিষ্কার করে দায় এড়ানো যাবে না।

নদী খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, খাল খনন প্রক্রিয়া প্রকৃত ম্যাপ অনুযায়ী না করলে অবৈধ দখলদাররা উৎসাহিত হবে। এ কারণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষ করে খালগুলো খনন করা উচিত। কেবল ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার নয়, বরং উভয় পাশের জনগণের চাহিদা অনুযায়ী খাল খনন করতে হবে।

এ বিষয়ে পাউবো বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ বলেন, ভাটার খাল ছাড়া সবগুলো খনন শুরু হয়েছে। আপাতত খালের পাশের স্থাপনা উচ্ছেদের কোনো পরিকল্পনা নেই। খননের নামে শুধু আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রকৌশলী বলেন, আমরা তো খননও করছি।

আরিফুর/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়