ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

পীরগঞ্জ বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়

শিক্ষকদের আন্দোলনে ১২ দিন ধরে বন্ধ ক্লাস

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৬:১৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
শিক্ষকদের আন্দোলনে ১২ দিন ধরে বন্ধ ক্লাস

গত ১২ জানুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করেছে ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জন সহকারী শিক্ষক। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে এ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের কেউ এখনো এগিয়ে আসেনি বলে জানা গেছে।

এদিকে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করায় বেশ বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তারা প্রতিদিন স্কুলে উপস্থিত হলেও ক্লাস না হওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। দ্রুত ক্লাস শুরু করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমনা, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রেদওয়ান ও সাদেক আলী জানান, শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। আমাদের ক্লাস হচ্ছে না। আমরা প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে বাড়িতে আসি। আমাদের ক্লাস না হওয়ায় লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে গত ১২ জানুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে বিদ্যালয়ের ১৪ জন সহকারী শিক্ষক।

পরে প্রতিকার না পেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন তারা। তবে অভিযোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন বিচার না পেয়ে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছুটিতে আছে জানিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়টির শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল ও অভিভাবক সদস্যদের না জানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নামেন তারা।

আব্দুল মতিন, মালেক, আইয়ুব আলী সরকারসহ একাধিক শিক্ষক জানান, আমাদের স্বাক্ষর জাল করে গোপনে প্রধান শিক্ষক তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন, যা আমরা জানি না। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে, আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন তিনি। আমরা তার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. আলম বলেন, ‘আমার অনুমতি ছাড়া আপনার ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি। আমার কিছু বলার নেই। তারা আন্দোলন করে কি করতে পারবে দেখা যাবে।’

তবে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আকতার বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করা হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছুটিতে আছেন। তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে দ্রুততম সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম কেনো শুরু করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা জানতে চাইলে, ভেবেচিন্তে উত্তর দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

/হিমেল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়