ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

পাবনায় একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন প্রিয়া

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২০:৫২, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
পাবনায় একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন প্রিয়া

সাগর-প্রিয়া দম্পতির সাত বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মেয়ের আশায় ফের গর্ভধারণ করেন প্রিয়া। আলট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন যমজ ছেলে সন্তান হবার কথা। কিন্তু প্রিয়া জন্ম দিয়েছেন তিনটি যমজ ছেলে। মেয়ে সন্তানের আশা পূরণ না হলেও একসঙ্গে তিনটি সন্তান পেয়ে খুশি তারা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গত রোববার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানদের জন্ম দেন তিনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিকভাবে সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের ভ্যানচালক সাগর হোসেনের (৩২) সঙ্গে বিয়ে হয় পাবনা শহরের চকছাতিয়ানী এলাকার প্রিয়া খাতুনের (২৬)। এই দম্পতির ঘরে আলো করে সাত বছর আড়ে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম পিয়াস। তবে কন্যা সন্তানের আশায় আবার গর্ভধারণ করেন প্রিয়া খাতুন। আলট্রসনোগ্রাম করার পর চিকিৎসক তাদের জানিয়েছিলেন মার্চের ৮ তারিখের দিকে যমজ ছেলে সন্তান জন্মের কথা। কিন্তু, চিকিৎসকের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের ২ মাস আগেই প্রসব ব্যথা শুরু হয় প্রিয়া খাতুনের। গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরদিন রোববার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নেয় একসঙ্গে তিনটি যমজ ছেলে সন্তান। জন্মের পর তিন যমজ সন্তান ও মা সুস্থ আছেন।

এরই মধ্যে তিন যমজ শিশুর নাম রাখা হয়েছে। এদের একজনের নাম সাজিদ, একজনের নাম সাদ এবং অপর শিশুর নাম সাজেক রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

যমজ শিশুর বাবা সাগর হোসেন বলেন, ‘আল্লাহর কাছে কন্যা সন্তান চেয়েছিলাম। আল্লাহ তিনটি যমজ ছেলে সন্তান দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরা খুবই খুশি। সন্তানদের ইসলামের পথে শিক্ষিত করতে চাই। জানি না কতদূর করতে পারবো।’

প্রিয়া খাতুন বলেন, ‘মার্চের ৮ তারিখে ডেলিভারি হওয়ার ডেট ছিল। তার দুই মাস আগেই প্রসব ব্যথা ওঠে। পরে হাসপাতালে ভর্তির পর নরমালে তিনটি যমজ ছেলে হয়েছে। আল্লাহর কাছে মেয়ে চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমাকে দেন নাই। ছেলে সন্তান দিয়েছেন। আমি তাতেই খুশি।’

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ও লেবার ওয়ার্ডের কর্তব্যরত স্টাফ নার্স শাহানা পারভীন বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে শিশুদের জন্ম হয়েছে। মা এবং বাচ্চারা সুস্থ আছে। তিনটি বাচ্চার ওজন ২ কেজি করে। সন্তান জন্মের পর মায়ের জন্য এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। একজন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রক্তদান করায় ভোগান্তি হয়নি। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট  ডা. জান্নাতুন নাহার লতা বলেন, আজ বুধবার দুপুরে প্রসুতি মা ও তার তিন যজম সন্তানকে দেখেছি। তারা ভাল ও সুস্থ আছে। কোনো সমস্যা নেই। যে কারণে তাদের আজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে।

শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়