ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪  
ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

সড়ক ও জনপথের জমিতে প্লাস্টিকের ঘের দিয়ে কাপড়ের দোকান, ছাউনি দিয়ে জুতা পলিশ, টেবিল বসিয়ে চা বিস্কুটের দোকান করে বছরের পর বছর জীবিকা নির্বাহ করছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এতে তাদের কখনো ভাড়া গুণতে হয়নি। তবে, সেই জায়গায় হঠাৎ করে ১২টি দোকানের মার্কেট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর চৌধুরী হাট বাজারে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথের জমিতে সিমেন্টের পিলার, নতুন টিন ও কাঠ দিয়ে এসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ১৫ হাজার টাকা জামানতসহ মাসিক ১ হাজার টাকা ভাড়ার শর্তে এসব দোকান বরাদ্দ দিচ্ছেন সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে কাপড় বিক্রি করি। হঠাৎ ঘর নির্মাণ যারা করছে তারা এসে বললো, আমি যেন আমার ব্যবস্থা করি। তাদের থেকে ঘর না নিলে হয়তো এখানে ব্যবসা করতে দেবে না। 

আরো পড়ুন:

দেবেন বর্মন নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি ৫ বছর ধরে এখানে বসেই জুতা সেলাইয়ের কাজ করছি। আমি একটি ছাউনি টাঙিয়ে বসতাম। গত সোমবার সকালে দেখি আমার ছাউনি সরিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এই ঘরটি নাকি ইযাসিন নামের এক ব্যক্তি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়েছেন। এখন আমি জানি না কোথায় আমার ঠাঁই হবে।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জায়গাটি ফাঁকা ছিল। তাই মার্কেট নির্মাণ করলাম। সবাই যেভাবে সড়কের জমি দখল করে দোকান ঘর করেছেন আমরাও তাই করেছি। 

সড়ক ও জনপথের কাছে অনুমতি নেওয়া আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। সড়কের জমিতে দোকান করতে অনুমতির কি প্রয়োজন। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ফজলে রাব্বী চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে বলেন। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা না বাড়ানোর অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা আমাকে অবগত করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখবো। পরে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মঈনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়