ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

চাঁদপুর জেলায় ৯৩ ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ৪৩টি

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪  
চাঁদপুর জেলায় ৯৩ ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ৪৩টি

চাঁদপুরে পোড়ানো ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক প্রস্তুত ও ব্লক ব্যবহারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ৯৩টি ইটভাটার মধ্যে ৪৩টি ইটভাটা অবৈধ এবং ১২০ ফুটের সনাতন ইটভাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টি।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের স্টেডিয়াম রোডস্থ পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর কার্যালয়ের হলরুমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে। যারা ব্লক তৈরি করবেন, তাদের জন্য ব্যাংক ঋণের বিশেষ ব্যবস্থা আছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের ১০০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের আজকের মতবিনিময়।

পরে জেলার ইটভাটাগুলোর হালনাগাদ চিত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পদক্ষেপ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হান্নান।

মতবিনিময়কালে মতলব উত্তরের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, বিএইচএম কবির আহমেদ, শাহ্ মো. শফিকুল ইসলাম, সরকার মো. আলাউদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশেক আয়নান, সড়ক বিভাগ চাঁদপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ হোসেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস বলেন, ইটভাটায় আমাদের অনেক বিনিয়োগ। এক্ষেত্রে এখন আমরা ব্লক উৎপাদনে গেলে যে ক্ষতি সেই ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা যেন সরকার করে। আমরা এখনই ব্লক উৎপাদনে গেলে পরিস্থিতি কি হবে? এখনো ব্লক ও ইট দুটো কাজে ব্যবহার হয়। সরকার আমাদেরকে শুধু ব্লকই বিক্রি করা যাবে; সব ক্ষেত্রে সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইটভাটা পরিবেশের কতটুকু ক্ষতি করে এটি কি পূর্বে বিশ্লেষণ হয়েছে। সারাদেশে শতভাগ পরিবেশের মধ্যে ইটভাটার মাধ্যমে ক্ষতি হয় ৮ভাগ। আর ৯২ভাগ অন্যান্য কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সেগুলোও বন্ধ করতে হবে। আর আমাদের ইটভাটাগুলো চলমান থাকে মাত্র ৪ মাস। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ইট তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হলে আমরা কোথায় যাবো? আমাদের ব্লক ইটের বাজার কে তৈরি করবে?

এসময় সভায় ইটভাটার মালিক ও প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম, জামিল আহমেদ খান, মো. ফখরুল ইসলাম, মো. খোরশেদ, রেদওয়ান আহমেদ, ফরহাদ, মো. হাসিবুল হাসান, মো. ফারুক খান, মো. শাহজাহান, শেখ মহিউদ্দিন স্বপন, উত্তম কুমার, মো. নাজির খান, মো. আ. ছাত্তার মিজি, মাহবুবুর রহমান, নুরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন, শফিউল আলম, মো. হাবিবুর রহমান সুমন, মো. বাবুল হোসাইন, ফারুক উল্লাহ, মশিউর রহমান, এরশাদ মজুমদার, মো. সোলেমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. রায়হান খান, মো. কাশেম, মো. এমরান হোসেন ও মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

অমরেশ/ফয়সাল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়