ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

এক সঙ্গে বাঁধাকপি ও ধনিয়া চাষে সফল তৌহিদ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪  
এক সঙ্গে বাঁধাকপি ও ধনিয়া চাষে সফল তৌহিদ

ক্ষেতে কৃষক মো. তৌহিদ মিয়ার সাথে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামীমুল হক শামীম।

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে এক সঙ্গে বাঁধাকপি ও ধনিয়া চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষক মো. তৌহিদ মিয়া।

গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ৩৩ শতক জমিতে প্রথমে ধনিয়া চাষ করেন। এর ফাঁকে ফাঁকে রোপণ করেন বাঁধাকপির উন্নতজাতের চারা। বাঁধাকপির চারা বড় হওয়ার পূর্বে ২১ হাজার টাকায় ধনিয়া বিক্রি করেন। পরে দ্রুত বড় হতে থাকে বাঁধাকপি গাছ। ক্ষেতে রেখেই বাঁধাকপি বিক্রি করা হয় ৫২ হাজার টাকায়। এখানে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ করে ৬৬ হাজার টাকা লাভ করেন কৃষক মো. তৌহিদ মিয়া।

এর আগে উপজেলার দ্বিমুড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামিমুল হক শামীমের পরামর্শে কঠোর শ্রম দেন কৃষক মো. তৌহিদ মিয়া। জমিতে প্রয়োগ করেন গোবর ও কিছু পরিমাণে সার। পোকা দমনে ব্যবহার করেন ফেরোমন ও হলুদ ফাঁদ। এতে বাঁধাকপির প্রচুর ফলন হয়।
কৃষক মো. তৌহিদ মিয়া বলেন, কঠোর শ্রমে শরীর ভালো থাকে। কাজে সফলতা আসে। বসে থাকলে চলবে না। কাজ করে যেতে হবে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, বাঁধাকপি চাষ করে শ্রম দিতে হয়। রোপণের শুরু থেকে জমিতে শ্রম দেন কৃষক মো. তৌহিদ মিয়া। তার শ্রমের কারণে কপির ভালো ফলন হয়েছে। তার ন্যায় অনেক কৃষক বাঁধাকপি চাষ করে সফল। আমরাও চাষ করতে আগ্রহী। কারণ চাষের সঠিক পরামর্শ পাওয়া যায় এ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামীমুল হক শামীমের কাছ থেকে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামিমুল হক শামীম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাঁধাকপি চাষে কঠোর শ্রম দিয়েছেন কৃষক মো. তৌহিদ মিয়া। সরেজমিন এসে আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি। এতে তার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করায় জমিতে বিষ প্রয়োগ করতে হয়নি। ওই কৃষক ধানের পাশাপাশি বারো মাস সবজি চাষ করছেন।

তিনি আরও বলেন, কাঁচা বাঁধাকপি গরু-ছাগল খায়। রান্না করে খায় মানুষ। আর শুকিয়েও রাখা যায়। এর পুষ্টিগুণ কোন পদ্ধতিতে খাওয়া হচ্ছে; তার উপর নির্ভর করে। এক কাপ বা ৯০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে ২২ ক্যালরি শক্তি। প্রোটিন আছে ১ গ্রাম, ফাইবার ২ গ্রাম, আর প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি’র ৫৪ শতাংশ, ভিটামিন কে’র ৮৫ শতাংশ, ফোলেটের ১০ শতাংশ, ম্যাঙ্গানিজের ৭ শতাংশ, ভিটামিন বি সিক্সের ৬ শতাংশ, ক্যালসিয়ামের ৪ শতাংশ, পটাশিয়ামের ৪ শতাংশ ও ম্যাগনেশিয়ামের ৩ শতাংশ মেলে। আধুনিক চিকিৎসায় এই সবুজ গোলাকার সবজিটির প্রবেশ ঘটে ইংরেজদের হাত ধরে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে ব্রিটিশরাই সারা বিশ্বে বাঁধাকপির জয়গান গেয়ে বেড়িয়েছে।

মামুন/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়