কাঁচা মরিচ বিক্রি করে আড়াই লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা যুবায়েরের
অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর || রাইজিংবিডি.কম
চাঁদপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. যুবায়ের হোসেন। পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু করার তাগিদ থেকে ৪০ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে কাঁচা মরিচের আবাদ করেছেন তিনি। বাজারে সারা বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্যটির চাহিদা থাকায় যুবায়ের আশা করছেন, এবার তিনি মরিচ বিক্রি করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা গ্রামের কৃষক আজিজুল হকের ছেলে যুবায়ের।
গতকাল সোমবার সরজমিনে দেখা যায়, জমিতে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে বেড তৈরি করেছেন। পরে মালচিং পেপার বিছিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর ছিদ্র করে চারা রোপণ করে কাঁচামরিচ চাষ করছেন। এ পদ্ধতিতে কাঁচা মরিচ চাষ করে ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
যুবায়ের হোসেন বলেন, ইউটিউব দেখে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ৩০০ কাঁচা মরিচ চারা রোপণ করি। কিন্তু কাঙ্খিত সফলতা পাইনি। প্রায় ৪০ থেকে ৪৫দিন আগে ৪০ শতক জমিতে বিজলি প্লাস ২০২০ জাতের কাঁচা মরিচের বীজ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে চাষ করি। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করতে পারবো।
যুবায়ের হোসেন আরও বলেন, মালচিং পেপারের কারণে জমিতে পোকাড় আক্রমণ কম হয়। সার একবারই দিতে হয়। গাছের গোড়ায় ছাড়া পুরো বেড মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় কোনো ধরণের আগাছা জন্মাতে পারে না। ফলে বাড়তি খরচ করতে হয় না। ফলন অনেক বেশি হচ্ছে।
হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চলতি অর্থ বছরে ৪৮৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে এবং এর বেশিরভাগই মালচিং পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে। বীজ ছিটিয়ে বীজ রোপণের চেয়ে লাইনে রোপণ করলে চাষাবাদের সুবিধা অনেক এবং ফলনও ভালো পাওয়া যায়। মালচিং পদ্ধতিতে যারা চাষাবাদ করছেন তাদের কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
মাসুদ