ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

জয়পুরহাটে মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাট সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৫:৪৮, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
জয়পুরহাটে মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন রায় ঘোষণা করেন। জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া মহল্লার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, একই মহল্লার মোহাম্মদ আলী মোখলেসারের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, শান্তিনগর মহল্লার শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন, আরাফাত নগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ, তেঘর বিশার কাবেজ উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেবীপুর কাজী পাড়ার মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহী, একই মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন, নুর হোসেন নুমুর ছেলে রহিম ও নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু। এদের মধ্যে বেদিন, নজরুল ইসলাম, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলু পালাতক।  

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন আসামিরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামিরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আসামিরা জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে মোয়াজ্জেমকে। ওই দিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে মোয়াজ্জেম মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। 

আরো পড়ুন:

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ বুধবার রায় ঘোষণা করলেন।

শামীম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়