ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

বিদ্যুতের তারে ঝুলছিলো শিশুর বিচ্ছিন্ন হাত

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৫:২৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিদ্যুতের তারে ঝুলছিলো শিশুর বিচ্ছিন্ন হাত

কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা এলাকায় ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া অনিরাপদ বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে হাতের কব্জি হারালো আবদুল্লাহ নামে ৭ বছর বয়সি এক শিশু। এছাড়াও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে তার দুই পা।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তেলিকোনা চৌমুহনী এলাকার মানিক মিয়া টাওয়ারের চতুর্থ তলায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির মা-ও আহত হয়েছেন।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতের কব্জি হারানো আবদুল্লাহকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসরা জানিয়েছেন তার জীবনও সঙ্কটাপন্ন।

স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকার বাসিন্দা ও চকবাজারের ব্যবসায়ী মো. শামীম পরিবার নিয়ে তেলিকোনা চৌমুহনী এলাকার মানিক মিয়া টাওয়ারের ৬ তলায় ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা ৬ তলা থেকে চার তলায় শিফট হচ্ছিলেন। এজন্য তাদের সন্তান আবদুল্লাহকে চারতলায় রেখে ৬তলা থেকে মালামাল নামানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। শিশুটি চারতলার জানালার গ্রিল দিয়ে ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া তারে হাত দিতেই বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। বিষয়টি লক্ষ্য করে আবদুল্লাহর মা তার সন্তানকে জোরে টান দিলে শিশুটির হাত থেকে কব্জি আলাদা হয়ে চলে আসে। আহত হন শিশুটির মা-ও। পরবর্তীতে আবদুল্লাহর হাতের কব্জি বিদ্যুতের খোলা তারে ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

এরপর মারাত্মক আহত অবস্থায় আবদুল্লাহকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, এই ভবনটির পাশের বিদ্যুতের তারে এর আগেও একজন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের পাশে এরকম অনিরাপদ বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে সংরাইশ এলাকায় এরকম একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন একজন নারী।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়াল  থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসেন বলেন,বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২), কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী পারভেজ আহমেদ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি মর্মান্তিক। তবে এখানে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন অবহেলা নেই। বিদ্যুতের ওই লাইনটি অনেক আগের। মূলত ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে বিদ্যুতের তার ঘেঁষে। আমরা ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে দুর্ঘটনার শিকার শিশুটির হাত বিদ্যুতের তার থেকে উদ্ধার করা হয়।

রুবেল/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়