ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

গাইবান্ধায় সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব

জোড়া খুনের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
জোড়া খুনের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃত পলাতক আসামি হাফিজুর রহমান।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জোড়া খুনের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাফিজুর রহমান সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে থেকে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান চাষ করতেন হযরত আলী।

আরো পড়ুন:

২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায় পেয়ে আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যান। ধান কাটার বিষয়টি জানতে পেরে আগেরদিন রাতে গোপনে হযরত আলি তার পাশের রাইস মিল থেকে বিদ্যুতের তার এনে পুরো জমিতে ফেলে রাখে। পরেরদিন সকালে আব্দুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন, মর্জিনা বেগম, জমিলা বেগম, আলমগীর হোসেন ও শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এভাবে  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছয়জন আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তসলিম উদ্দিন ও মর্জিনা খাতুন মারা যান।

এ ঘটনায় ওই রাতেই তসলিম উদ্দিনের চাচা মফিজুল হক বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ৭জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ধানক্ষেতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চাচাতো ভাইবোনকে হত্যার ঘটনায় গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক তিন সহোদরকে ফাঁসির আদেশ দেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলী, হাফিজার রহমান ও আবিজল হোসেন। সেই থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আসামি হাফিজার রহমানকে খুঁজছিল র‍্যাব। পরবর্তীতে আসামি আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১৩, সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ও র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বর্ষা বাজার এলাকা থেকে আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামি হাফিজুর দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থেকে বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তিনিই যে হত্যা মামলার পলাতক আসামি, তা তিনি স্বীকার করেছেন।

মাসুম/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়