ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে ছুরিকাঘাতে চোখ হারাতে বসেছে এক যুবক

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
গোপালগঞ্জে ছুরিকাঘাতে চোখ হারাতে বসেছে এক যুবক

গোপালগঞ্জে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে চোখ হারাতে বসেছেন শিলন শেখ (২৫) নামের এক যুবক। মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল গ্রামে তার উপর হামলা করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান ও গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত শিলন শেখ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে।

আহত শিলন শেখ বলেন, খাগাইল গ্রামে বাড়ীর সীমানার জমি নিয়ে ওবায়দুল শেখের সাথে আকরাম মৃধার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলে দুইজনের সম্মতিতে সীমানা প্রাচীর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সকালে সীমানা প্রাচীর তৈরি করার জন্য আমিসহ কয়েকজন রাজমিস্ত্রী কাজ করতে আসি। এসময় আকরাম মৃধার ছেলে আজিজ মৃধা বাধা দিলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমার পরিচিত এক মামাকে মারতে গেলে আমি ঠেকাতে যাই। এসময় আজিজ মৃধা আমার ডান চোখে চুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমি মারাত্মক আহত হলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত আজিজ মৃধা পালিয়ে যায়।

আহত শিলন শেখের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। আজ সকালে সে ওখানে কাজ করতে যায়। এসময় দুই পক্ষের বাকবিতন্ডায় আকরাম মৃধার ছেলে আজিজ মৃধা আমার ছেলের ডান চোখের মধ্যে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এখন আমার ছেলের চোখ নষ্ট হতে বসেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চোখের আঘাত নিয়ে ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে ছুরিকাঘাতে ওই যুবকের চোখের কার্নিয়া ও টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাদল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়